মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইকালে বাঘায় চেয়ার ভাঙচুর

রাজশাহী

বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের তৃতীয় তলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই শুরুর পর পরই চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহসপতিবার (১৩-১০-২০২২) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বৃহসপতিবার সকাল ১০ টা থেকে মনিগ্রাম ইউনিয়নের ১৯জন ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ২৪জন আবেদনকারির আবেদন যাচাই বাছাইয়ের দিন ধার্য ছিল। যাচাই বাছাই শুরুর পর পরই কমিটির দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সামনে গিয়ে বাঘা পৌর এলাকার গাওপাড়া গ্রামের ইনছার আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন তালিকার বাইরে থাকা ব্যক্তিদের যাচাই বাছাইয়ের দাবি করেন। তার দাবি না মানায় উত্তেজিত হয়ে চেলাø চেল্লি শুরু করে। এক পর্যায়ে পেছনে থাকা অজ্ঞাত ব্যক্তিরা চেয়ার ভাঙচুর করে চলে যায়। পরে জাহাঙ্গীর হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
যাচাই বাছাই কমিটি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদ আলী বীর প্রতীক জানান,অনলাইনে ২০১৪ সালে ও পূর্বেকার আবেদনের প্রেক্ষিতে জামুকা (জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল) থেকে পাঠানো নামের তালিকা অনুযায়ী যাচাই বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। হঠাৎ করেই একজন যুবক মঞ্চের সামনে এসে তালিকার বাইরে থাকা ব্যক্তিদের যাচাই বাছাইয়ের দাবি করেন। তালিকার বাইরে যাচাই বাছাই করার সুযোগ নাই বলে জানানোর পর উত্তেজিত হয়ে চেলাø চেল্লি শুরু করে।
যাচাই বাছাই কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহি অফিসার শারমিন আখতার জানান,কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই মঞ্চের পেছনে থাকা কতিপয় ব্যক্তিরা চেয়ার ভাঙচুর করেছে। পরে পরিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে যাচাই বাছাই কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। যাচাই বাছাই কার্যক্রমের তৃতীয় দিন মনিগ্রাম ইউনিয়নের ১৯জন ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ২৪জন আবেদনকারির আবেদন যাচাই বাছাই করা হয়েছে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন জানান, জাহাঙ্গীর হোসেন চেয়ার ভাঙচুরের সাথে জড়িত না থাকায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তদন্ত করে চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহিৃত করে আইনের আওতায় নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর হোসেনের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার বাড়িতে ও মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।

স্ব.বা/রু

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *