স্বদেশ বাণী ডেস্ক: ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন অবশেষে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন। গত আগস্টে পার্টি করার ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয় দেশটির প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনকে নিয়ে। ফাঁস হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি দেশটির কয়েকজন সেলিব্রেটি ও তার বন্ধুদের সঙ্গে নাচছেন ও গান গাইছেন।
এ ঘটনায় বিরোধী দলগুলোর তোপের মুখে পড়েন সানা মারিন। পরে তিনি ড্রাগ টেস্ট করান এবং তার ফলাফল নেগেটিভ আসে।
৩৬ বছর বয়সী এই প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিষয়টি সুরাহার জন্য তোড়জোড় শুরু করেন। কারণ মারিনের আচরণ ফিনল্যান্ডের ‘সুনাম ও নিরাপত্তা’ ক্ষুন্ন করেছে এমন অভিযোগ এনে কয়েক ডজন অভিযোগ দায়ের হয়।
তবে বিচারপতি তুমাস পয়েস্তির উপসংহারে আসেন যে মারিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্বে অবহেলা করেননি। আনুষ্ঠানিক তদন্ত শেষে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে তার দায়িত্ব পালনে বা তার দাপ্তরিক দায়িত্বে অবহেলার জন্য বেআইনি আচরণ করেছেন বলে সন্দেহ করার কোন কারণ নেই’।
এর আগে নাচ-গানের ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে মাদক নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন তিনি। হেলসিঙ্কিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমি বেআইনি কিছু করিনি।
সানা মারিন খুব স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পছন্দ করেন। পার্টি করার কোনো তথ্য গোপন রাখেন না তিনি এবং প্রায়শই সঙ্গীত উৎসবে তাকে দেখা যায়। গত বছর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পর ক্লাবে গিয়ে পার্টি করার কারণে তিনি ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন সানা মারিন। সে সময় তার বয়স মাত্র ৩৪ বছর। আগামী সপ্তাহে মিশরে কপ২৭ জলবায়ু সম্মেলনে অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে মারিন যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
স্ব.বা/রু