তানোরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁসলেন সদস্যরা 

রাজশাহী

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা যড়যন্ত্র মুলুল ও জাল স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করে সুবিধা বাদি ইউপি সদস্যরা অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জাল স্বাক্ষর মিথ্যা প্রমানিত হয় বলে নিশ্চিত করেন চেয়ারম্যান ও সচিব। ফলে বাবু চৌধুরী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতারা নানা ভাবে যড়যন্ত্র করেই যাচ্ছেন। এখবর ছড়িয়ে পড়লে ইউপি জুড়েই বইছে সমালোচনার ঝড়।

জানা গেছে, বিগত ২০২১ সালে উপজেলার কলমা ইউনিয়ন(ইউপি) ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করেন জেলা আওয়ামীলীগ নেতা খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী। বিজয়ের পর থেকেই নানা ভাবে হয়রানির স্বীকার হতেই আছেন তিনি। এবার এক নেতার ইন্ধনে জামায়াত নেতা কলমা ইউপির সদস্য সেকান্দারের নেতৃত্বে ৬ জন সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউএনওর দপ্তরে অভিযোগ করেন।

অভিযোগকারী জামায়াত নেতা মেম্বার সেকান্দার, সহিদুল রা জানান, পরিষদের কোন মিটিং বা কোন কাজে ডাকা হয় না। এমনকি চেয়ারম্যান ও সচিব ফাকা রেজুলেশনে আমাদের স্বাক্ষর নেয়।আমাদের কোন কথায় তারা শোনেন না।

ইউপি সচিব মুস্তাফিজুর জানান, ১ নম্বর ওয়ার্ডে এলজিএসপি থেকে চৈতপুর হেয়ারিং রাস্তা ৫ লাখ ৬৮ হাজার, চৈতপুর বলডাংগা মাটির রাস্তা সংস্কার ৮ টন, বিল্লি রহিম ডাক্তারের বাড়ির উত্তরে প্রটেকশন ওয়াল ২৯৫ ফিট ৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা, বিল্লি প্রাথমিক স্কুলের প্রটেকশন ওয়াল ১ লাখ টাকা, কর্মসুচি কুচিয়ামাড়াগ্রামে সব প্রকল্পের সভাপতি সেকান্দর মেম্বার,। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মালবান্দা হাটে প্রসাব খানা নির্মান ব্যয় ৫০ হাজার টাকা, ওই ওয়ার্ডেই দুইবার কর্মসুচির কাজ। প্রকল্প সভাপতি মেম্বার সহিদুল। ৪ নম্বর ওয়ার্ড দিবস্থল আদিবাসিপাড়া রাস্তা সংস্কার কাবিটা ২ লাখ টাকা, গঙ্গারামপুর কর্মসুচির কাজ, প্রকল্প সভাপতি ওয়ার্ড মেম্বার ওয়াজেদুল বেবী। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মসুচির কাজের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১ লাখ টাকা ব্যয়ে ২ টি মটর, কর্মসুচি, অমৃতপুর হাটে প্রসাব খানা নির্নান ইউপি ফান্ড থেকে,প্রকল্প সভাপতি ওয়ার্ড মেম্বার আবুল কালাম। এসব কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে জুন মাসের মধ্যে দেওয়া হয়েছে। তারপরও তারা কারো প্রলোভনে যদি অভিযোগ করেন, তাহলে কি বলার আছে।

ইউপির অন্য সদস্যরা জানান, কোন কাজ কিংবা মিটিংয়ে সবাইকে ডাকেন চেয়ারম্যান। কিন্তু তারা পরিষদেও আসবে না। আবার তলে তলে ষড়যন্ত্র করছেন। আমাদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি থাকলে আমারাই বসে সমাধান করব। সেটা না করে নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করা মানে নিজেদেরই সমস্যাদি সৃষ্টি হবে।

ইউপি চেয়ারম্যান বাবু চৌধুরী জানান, আমাকে নানা ভাবে হয়রানি করতে মরিয়া একটি মহল। আমি নাকি রেজুলেশনে জাল স্বাক্ষর করেছি। কিন্তু গত রোববারে রেজুলেশন দেখানোর পর মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। যদি কোন সমস্যাদি হয় তাহলে পরিষদে বসেই সমাধান করা হবে। কারন তারাও জনপ্রতিনিধি, তাদের কাছেও জনগণ কাজের আসা করে। অনেকে পরিষদেই আসেনা। আমার ভুল হলে তারা বলবে, তাদের ভুল হলে আমি বলব, সেটা না করে এসব অযথা অভিযোগ দিয়ে আক্রোশ তৈরি করে লাভের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আমি অনুরোধ করে বলব নিজেরা দ্ব›দ্ব ফাসাদ না করে সমন্বয় ভাবে কাজ করলে সবার জন্যই মঙ্গল হবে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *