ফজলুর রহমান,বাগাতিপাড়া(নাটোর): বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে জনবল সংকট দেখা দিয়েছে। দপ্তর প্রধানসহ ১১টি পদের বিপরীতে সাতটি পদই শূন্য রয়েছে। ফলে একদিকে যেমন কম লোকবল নিয়ে দপ্তরটি সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে, অন্যদিকে কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সেবাপ্রত্যাশীরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দপ্তরটিতে মঞ্জুরিকৃত মোট ১১টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের পদায়ন এবং একজন প্রেষণে অন্যত্র থেকে এ দপ্তরে সংযুক্ত রয়েছেন। দপ্তর প্রধানসহ বাকি সাতটি পদ দীর্ঘদিন থেকে শূন্য রয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম আলমগীর হোসেন ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর বদলি হওয়ার পর থেকে ওই পদে আর কোনো কর্মকর্তাকে পদায়ন দেওয়া হয়নি। বর্তমানে পার্শ্ববর্তী লালপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. চন্দন কুমার সরকারকে এ উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ভেটেরিনারি সার্জন হিসাবে পদায়িত রয়েছেন ডা. আবু হায়দার আলী।
অন্যদিকে উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) ইউএলএ পদে একজনের পদ শূন্য, ভিএফএ তিনটি পদের বিপরীতে একজন কর্মরত থাকলেও দুজনের পদ শূন্য রয়েছে। এদিকে উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (প্রাণিস্বাস্থ্য) কম্পাউন্ডার পদ দীর্ঘদিন থেকে শূন্য রয়েছে। সেখানে ২০১৯ সাল থেকে পাবনা থেকে ফারুখ হোসেন নামের একজনকে প্রেষণে রাখা হয়েছে।
এছাড়া উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (কৃত্রিম প্রজনন) এফএ (এআই) পদে নাজিম উদ্দিন নামে একজন পদায়ন থাকলেও দপ্তরটির অফিস সহকারী, ড্রেসার ও অফিস সহায়কের পদ দীর্ঘদিন থেকে শূন্য রয়েছে। তবে দপ্তরটিতে এলডিপিপি প্রকল্পের আওতায় কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট আটজন কর্মরত রয়েছেন। তারা সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছেন। স্থানীয়রা জানান, কম লোকবল নিয়ে দপ্তরটিতে জনসাধারণের কাক্সিক্ষত সেবা দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা একাধারে দুই উপজেলার দায়িত্ব পালন করছেন। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকায় দুই উপজেলার সেবাপ্রত্যাশীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। এছাড়া ভেটেরিনারি সার্জন ডা. আবু হায়দার আলীর ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, লোকবল সংকটের কারণে সেবাপ্রত্যাশীদের সেবা নিতে গিয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। তাছাড়া কাক্সিক্ষত সেবা থেকেও তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। দপ্তরটিতে দ্রুত শূন্যপদগুলো পদায়নের দাবি জানান এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. চন্দন কুমার সরকার বলেন, লোকবল সংকটের মধ্যেই তার দপ্তর থেকে সেবাপ্রত্যাশীদেরকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এরপরও সংকট থাকায় তাদেরকে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ-সদস্যের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। দ্রুতই শূন্যপদে লোক নিয়োগ করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্ব.বা/বা
