কেশবপুরে আত্মহত্যা প্রচেষ্টার মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

জাতীয়

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের কেশবপুরের মঙ্গলকোট গ্রামে তৌহিদুল ইসলাম লাভলুর আত্মহত্যা প্রচেষ্টার মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার সকালে কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের মৃত ইউসুপ মোড়লের স্ত্রী শিরিনা বেগম বলেন, ৩ বছর পূর্বে তার পূত্র তৌহিদুল ইসলাম লাভলু সাথে একই উপজেলার কালিয়ারই গ্রামের হবিবুর রহমান সানার কন্যা রিক্তা খাতুনের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের পর থেকে স্ত্রী রিক্তা খাতুন তার কথা শুনতো না। যার ফলে সাংসারিক কলহ লেগে থাকত।

তারই জের ধরে গত ২২ জুন বিকাল ৫ টায় গলায় গামছা পেচিয়ে তৌহিদুল ইসলাম লাভলু আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যা করার সাথে সাথে রিক্তা খাতুন নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও সাংসারিক যাবতীয় মালামাল নিয়ে কালিয়ারই গ্রামে তার পিত্রালয় চলে যায়। লাশ ময়না তদন্ত শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এব্যাপারে তৌহিদুল ইসলাম লাভলুর মা শিরিনা বেগম পূত্র আত্মহত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পূত্রবধূ রিক্তা খাতুন, মঙ্গলকোট গ্রামের শহর আলী মোড়লের পূত্র শহিদুল ইসলাম, মৃত সাদেক আলীর পূত্র আব্দুল হালিম, এজাহার আলীর পূত্র খলিলুর রহমান, খলিলুর রহমানের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন ও নওয়াব আলী মোড়লের পূত্র হাফিজুর রহমানকে আসামী করে গত ২৫ জুলাই একটি মামলা দায়ের করেন।

অপরদিকে গত ২৪ আগস্ট সকালে রিক্তা খাতুন, মঙ্গলকোট গ্রামের শহর আলী মোড়লের পূত্র শহিদুল ইসলাম, মৃত সাদেক আলীর পূত্র আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন দূবৃত্ত নিয়ে শিরিনা বেগম কন্যা মনিরা খাতুনের বাড়ি জবরদখলের চেষ্টা চালায়। এলাকাবাসির প্রতিরোধে ব্যার্থ হয়ে হত্যা করা-সহ বিভিন্ন প্রকার হুমকী দেয়। এঘটনায় শিরিনা বেগম গত ১ সেপ্টেম্বর আগত দূবৃত্তদের নাম উল্লেখ করে কেশবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে যার নং ৩৩।

এদিকে আদালতে মামলা ও কেশবপুর থানায় জিডির ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য গত ১৮ সেপ্টেম্বর রিক্তা খাতুন একটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ঘটনা উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করে। যা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শিরিনা বেগম প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং পূত্রের মৃত্যুর ঘটনায় বিজ্ঞ আদালতের নিকট ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলকোট গ্রামের ফছিয়ার রহমান, জিয়াউর রহমান, হালিমা বেগম-সহ এলাকাবাসি উপস্থিত ছিলেন।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *