তানোরে ১৯ কোটি টাকার রাস্তা চালুর পরেই ফাটল

রাজশাহী
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে সদ্য নির্মিত প্রায় ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তায় দেখা দিয়েছে ফাটল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখনো রাস্তার দুধারে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ বাকি থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোন খোজ মিলছে না। এই রাস্তাসহ উপজেলায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মুল রাস্তাগুলো পরিদর্শন করা হয় সম্প্রতি। কিন্তু পরিদর্শনের নামে চলে ঠিকাদারের টাকায় ভুড়ি ভোজ। কারন ফাটলের জায়গাগুলো দেখানো হয়নি। মুলত এজন্য ঠিকাদার তুষ্ট করতেই নাকি এমন ধাপ্পাবাজির পরিদর্শন বলেও মনে করছেন স্থানীয় ঠিকাদারেরা। ফলে রাস্তার টিকসই নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
জানা গেছে, লোকাল গভর্মেন্ট ডিপার্টমেন্ট (এডিবি), রুরাল কান্সটিভিটি এমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (আরসিআইপি), অর্থায়নে এডিবি এন্ড গভর্মেন্ট অফ বাংলাদেশ (জিওবি)।
তালন্দ থেকে দরগাডাঙ্গা হাট হয়ে বিল্লি হাট পর্যন্ত দীর্ষ ১৭ কিলোমিটার রাস্তাটি নির্মান করা হয়। নির্মান কাজটি করেন ডন এন্টার প্রাইজ এন্ড আবুল হোসেন(জেভি), লেড পার্টনার ডন এন্টার প্রাইজ, প্রোপাইটার হারুনুর রশিদ।  রাস্তার কাজ শুর হয় ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে, শেষ হওয়ার কথা ২০২২ সালের মার্চ মাসে।
সুত্র মতে, নির্দিষ্ট সময়ে রাস্তার কাজ টি শেষ হয় নি। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডন এন্টার প্রাইজ, মালিক হারুনুর রাশিদ, বা আবুল হোসেন (জেভি) কার্যাদেশ পেলেও কাজের দায়িত্বে ছিলেন শহরের ঠিকাদার ওয়াসিম। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার বিষয়ে ওয়াসিম জানান,  কাজ শুরু পর থেকে মহামারি করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউন চলে। মুলত এজন্যই কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয়।
রাস্তার কার্পেটিং কাজ শেষ হওয়ার পরেই বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দেয় এবং রাস্তার দুধারে ঘাস লাগানোর কথা বলা হলেও এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তার পুরাতন কার্পেটিং ইট খোয়া ও এজিংয়ের ইট তুলে নতুন ভাবে করার নির্দেশনা থাকলেও শুধু কার্পেটিং নতুন ভাবে করা হয়েছ। ডাবলু বিএম পুরাতন খোয়া, এজিংয়েও পুরাতন ইট ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির কারনে রাস্তায় ফাটল ধরেছে। যা বর্ষা মৌসুমে ফাটলের জায়গায় পানি ঢুকে দ্রুত নষ্ট হবে।
তবে ঠিকাদার ওয়াসিমের দাবি করোনা ভাইরাসের পর সকল ধরনের জিনিসের দাম দ্বিগুণ, কিন্তু বরাদ্দ বাড়েনি। লাভের বিপরীতে লোকসান গুনতে হয়েছে। রাস্তার কাজে কোন অনিয়ম হয়নি, ফাটলের জন্য ভেকু মেশিন ও মাটি বহন করা ট্র্যাক্টর দায়ি। একাধিক বার প্রশাসনকে অবহিত করার পর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন দায় আসছে ঠিকাদারের।  রাস্তাটি বাস্তবায়ন করেন উপজেলা এলজিইডি।
১৭ কিলোমিটার রাস্তার বিপরীতে ব্যয় ধরা হয় ১৮ কোটি ১০ লাখ ৯ হাজার ২১৭ টাকা ৯৭ পয়সা। প্রতি কিলোমিটার রাস্তার ব্যয় ১ কোটি টাকার উপরে।
উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, রাস্তায় যেখানে ফাটল ধরেছে সেখানে নতুন করে মেরামত করা হচ্ছে। না করলে বিল দেওয়া হবে না।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *