তুরস্ক-সিরিয়া ভূমিকম্পে প্রাণহানি ১১ হাজার ছাড়িয়েছে

আন্তর্জাতিক লীড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্ক এবং সিরিয়ায় আঘাত হানা বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সোমবারের ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনের নিচে আটকে পড়া শত শত মানুষকে উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। দেশ দুটির উদ্ধারকারীরা বলেছেন, তীব্র ঠান্ডা এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে লোকজনকে জীবিত উদ্ধারের সময় দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লোকজনকে উদ্ধারে সময়ের বিপরীতে লড়াই করতে হচ্ছে তাদের।

বুধবার দুই দেশের কর্তৃপক্ষের পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থার এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। স্থানীয় কর্মকর্তা এবং মেডিক্যালের চিকিৎসকরা বলেছেন, ভূমিকম্পে কেবল তুরস্কেই মারা গেছেন ৮ হাজার ৫৭৪ জন। এছাড়া সিরিয়ায় প্রাণ গেছে ২ হাজার ৬৬২ জনের। এর ফলে দুই দেশে ভূমিকম্পে প্রাণহানি ঘটেছে ১১ হাজার ২৩৬ জনের।

উভয় দেশের উদ্ধারকারীরা বলেছেন, তুরস্কে ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। সিরিয়ায় আহত হয়েছেন আরও ৫ হাজারের বেশি।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কাহরামানমারাস পরিদর্শন করেছেন বুধবার। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল এই শহর পরিদর্শনে গিয়ে তিনি হতাহতদের ব্যাপারে হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন।

টেলিভিশনের ছবিতে দেখা যায়, একজন কান্নারত বয়স্ক নারীকে জড়িয়ে ধরেছেন এরদোয়ান। পরে বিপুলসংখ্যক মানুষের ভিড় পেরিয়ে রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণের তাঁবুর দিকে হেঁটে যান তিনি।

আগামী ১৪ মে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে প্রাকৃতিক এই বিপর্যয় মোকাবিলা ও উদ্ধার তৎপরতার ধীরগতি নিয়ে এরদোয়ান প্রশাসনের প্রতি মানুষের ক্ষোভ দেখা গেছে। তবে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত কাহরামানমারাস পরিদর্শনের সময় এই শহরটি আগামী এক বছরের মধ্যে পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

সোমবার স্থানীয় সময় ভোরের দিকে সিরিয়া ও তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। তখন সেখানে লোকজন ঘুমিয়ে ছিলেন। স্মরণকালের এই ভয়াবহ ভূমিকম্পে হাজার হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে এবং অসংখ্য মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন।

কেন্দ্রস্থলের কাছের শহর তুরস্কের গাজিয়ানতেপ এবং কাহরামানমারাসে প্রচন্ড ধ্বংসলীলা চালিয়েছে এই ভূমিকম্প। এই দুুই শহরের বেশিরভাগ ভবন ধসে পড়েছে।

ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহতায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মঙ্গলবার দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ১০টি প্রদেশে তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *