বাঘায় সেই জয়নালকে পেটালো ছাত্রের অভিভাবক

রাজশাহী

বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের জের ধরে বুধবার(১৫-০২-২০২৩) প্রতিপক্ষের মারপিটে জয়নাল হোসেন নামের একজন আহত হয়েছে। ঘটনার পর জয়নাল হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর আগে শাহিন আলমের পঞ্চম শ্রেণীতে পড়–য়া ছেলে শাহাদত হোসেনকে মারপিট করে জয়নাল হোসেন। সেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জোতনশি গ্রামে।

জানা যায়, মঙ্গলবার জয়নাল হোসেনের প্রথম শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়ে খাদিজা খাতুনের সাথে একই শ্রেণীতে পড়–য়া শাহিন আলমের ছেলে মোহাব্বত হোসেনের ঝগড়া হয়। বিষয়টি জানার পর, টিফিন সময়ে স্কুলে যান জয়নাল হোসেন। সেখানে মোহাব্বত হোসেনকে না পেয়ে তার সহোদর বড় ভাই পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র শাহাদত হোসেনকে কিল ঘুষি চড়থাপ্পড়সহ তুলে আছাড় মারেন। এতে আহত হন শাহাদত হোসেন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শাহাদত হোসেন উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের দেবত্তর বিনোদপুর গ্রামের শাহিন আলমের ছেলে। খাদিজা খাতুনের পিতা জয়নাল হোসেন একই উপজেলার জোতনসী গ্রামের বাসিন্দা। স্কুলে গিয়ে ছাত্রকে মারপিটের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন প্রধান শিক্ষক মোসা. আকতার বানু (বেলী)।

জয়নাল হোসেন জানান,সন্তান হিসেবে শাসনের জন্য চড়-থাপ্পর মেরেছি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীভাবে শালিশ বসার কথা ছিল। তার আগেই শাহিন আলম তার লোকজন নিয়ে আমাকে মারপিট করেছে। শাহিন আলম জানান, তার ছেলে শাহাদত হোসেনকে অমানবিকভাবে মারপিট করা হয়েছে। পরে বিষয়টি নিয়ে হট্রগোল হয়েছে। জয়নাল হোসেন আহত হয়েছে কি-না,তা জানিনা।

পাকুড়িয়া ইউনিয়নের মেম্বর আব্দুর রউফ জানান, বুধবার বিষয়টি নিয়ে আমার বাড়িতে শালিস বসার কথা ছিল। দুপুরের দিকে দুই পক্ষের লোকজন আসার পর হঠাৎ করেই হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় প্রতিপক্ষ শাহিন আলমের লোকজনের মারপিটে আহত হয় জয়নাল হোসেন। পরে শালিস পন্ড হয়ে যায়। তিনি জানান,আগের দিন শাহিন আলমের ছেলেকে মারপিট করেছিল জয়নাল হোসেন।

পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি স্থানীভাবে মিমাংসার জন্য স্থানীয় মেম্বর আব্দুর রউফকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। দু’পক্ষের হট্রগোলে পরে শালিস হয়নি।

বাঘা থানার ডিউটি অফিসার এস.আই প্রজ্ঞাময় বলেন, ছাত্রকে মারপিটের অভিযোগ করেছিলেন তার পিতা শাহিন আলম। ইউপি চেয়ারম্যান মিমাংসার জন্য দায়িত্ব নিয়েছিলেন। পরের ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *