নাটোরে অন্তঃস্বত্বা স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে!

রাজশাহী

আল-আফতাব খান সুইট, নাটোর: পরকিয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় অন্তঃস্বত্বা স্ত্রী রিপা (২৭)কে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়েছে স্বামী কবির। এমন অভিযোগ নিহতের পরিবারের। আর এই অভিযোগ উঠেছে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের সলইপাড়া গ্রামের মুনসুর রহনের ছেলে কৃষক কবির হোসেনের বিরুদ্ধে।মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ওই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ রিপা রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার উত্তর মল্লিকবাঘা গ্রামের আনছার ফকিরের মেয়ে।

নিহতের বড় ভাই মুশিকুল ইসলাম জানান, ১১ বছর আগে ভালবাসা করে তার বোন কে বিয়ে করে কবির। তাদের সংসারে ১০ বছরের মাহী এবং রকী নামে ৫ বছরের দুই পুত্র সন্তান আছে এবং বর্তমানে অন্তঃস্বত্বা ছিল তার বোন। আগে বেশ ভালোই ছিল তারা কিন্তু ৭/৮ মাস আগ থেকে পরকিয়ার কারণে তার বোনের সাথে মাঝে মধ্যেই বাকবিতন্ডা হয় কবিরের। হঠাৎ আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে মোবাইল ফোনে রিপা তাকে জানায় তাকে মারপিট করছে স্বামী কবির ও পরিবারের লোকজন। সে আর সহ্য করতে পারছেনা। পালিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসবে বলেও জানায় ভাইকে। সন্ধ্যায়ও না আসায় আবার তার মোবাইল ফোনে ফোন করলে প্রতিবেশি এক মহিলা ফোন ধরে। এসময় তার বোনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তার ভাইকে দ্রুত আসতে বলেন ওই প্রতিবেশি মহিলা। এমন খবর শুনে মা এবং অন্য বোনদের সাথে করে হাসপাতালে এসে তার বোনকে মৃত দেখতে পায়। যারা তার অন্তঃস্বত্বা বোন রিপা কে নির্যাতন করে হত্যা করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেন ভাই মুশিকুল।

বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রিতা হাওলাদার বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে রিপা নামে ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু এখানে আসার প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের সলইপাড়া এলাকায় অন্তঃস্বত্বা স্ত্রী রিপাকে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়েছে স্বামী কবির এমন সংবাদে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রিপার মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য আজ বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *