কারো কথায় কান না দিয়ে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র  ও উন্নয়নের প্রতীকে নৌকায় ভোট দিন:  লিটন

বিশেষ সংবাদ রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগরীর ৮, ৯, ১০, ১১ ও ১৩নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত নগরীর এই পাঁচটি ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও পথসভা করেন তিনি। শুক্রবার বিকেলে নগরীর ঘোষপাড়া মোড় ও সোনাদিঘি সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের স্থানে, শহীদ নজমুল হক স্কুলের মোড় ও হরিজন পল্পীতে পথসভায় বক্তব্য দেন মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। পথসভায় সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। পথসভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ার।

পথসভায় মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, গত ৫ বছরের মধ্যে মাত্র আড়াই বছর কাজ করতে পেরেছি। কারণ করোনার কারণে দেড় বছর সারা পৃথিবীর মতো বাংলাদেশ অচল হয়েছিল। রাজশাহীও অচল হয়েছিল। তখন কোন কাজ করতে পারিনি। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নগরবাসীকে দফায় দফায় খাদ্য, নগদ অর্থ প্রদান, ওষুধ ও অক্সিজেন সিলিন্ডার বাড়ি বাড়ি পৌছে দিয়েছি। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নির্মাণ সামগ্রী ও ডলার দাম বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে আড়াই বছর তেমন উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে আড়াই বছরে যে অল্প সময় কাজ করতে পেরেছি, তার উন্নয়ন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, রাজশাহীতে কর্মের সংকট। তেমন শিল্পকারখানা নেই। সরকারি কারখানা বন্ধ হয়ে আছে। এবার কর্মসংস্থান দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিসিক শিল্পনগরী-২ নির্মিত হয়েছে। সেখানে ২৮৭টি প্লটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানা করা যাবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর থেকে শিল্পপতিদের নিয়ে এসে শিল্পকারখানা করবো।

খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, যে নৌকা স্বাধীনতা এনেছে, যে নৌকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের, যে নৌকা দেশের মানুষকে গণতন্ত্র দিয়েছে, উন্নয়ন দিয়েছে, সেই নৌকাই পারে রাজশাহীর মানুষকে উন্নতির পথে নিয়ে যেতে। তাই কারো কথায় কান না দিয়ে ২১ জুন নৌকা মার্কাকে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করুন। যত বেশি ভোটে বিজয়ী করবেন, তত বেশি অর্থ বরাদ্দ এনে উন্নয়ন করতে পারবো।

পথসভায় আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ার বলেন, আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে সেই বাংলা ভাইয়ের কথা, মনে আছে জঙ্গিবাদ, ফ্যাসিবাদের কথা, মনে আছে লুন্ঠন আর অত্যাচারের কথা। আর সঙ্গে আরেকটি পথ, যেটি আমাদের খায়রুজ্জামান লিটন ভাই দেখিয়েছেন, সেটি উন্নয়নের পথ, সেটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, তাঁর পিতা আমাদের উত্তরবঙ্গের তথা সারাদেশের কৃতি সন্তান শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের স্বপ্ন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন যে একটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত একটি বাংলাদেশ। তারই একজন সিপাহসালার হিসেবে আজকে লিটন ভাই শুধু বাংলাদেশে নয়, সারাবিশে^ রাজশাহীর যে সুনাম তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন, তিনি রাজশাহীবাসীর জন্য পরীক্ষিত বন্ধু।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু কন্যার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশী চক্রান্ত, জামায়াত-শিবির, আলবদর, ঘাতক, রাজাকার সব এক প্লাটফর্মে এসে আজকে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সেইখানে যখন তারা ব্যর্থ হন, তখন তারা মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যায়। তাদের কিছু ডামি দাঁড় করায়, ইসলামের নামে, ধর্মের নামে যারা এই দেশে দীর্ঘদিন ধরে অন্যায় রাজত্ব কায়েম করেছে, সেই সকল ব্যক্তিবর্গকে তারা মাঠে নামায় ডামি হিসেবে, ঠিকই থাকেন নেপথ্যে। এই যে তাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড রাজনীতি, নিজের দেশকে হেয় করা, ছোট করা, নিজের দেশের মানুষের ক্ষতি করা, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি, তার বিপক্ষে আজকে আমাদের লিটন ভাই প্রমাণ করেছেন, রাজশাহী আপনারা দেখেছেন, আপনারা জানেন এটি কোন গল্প নয়, এটি কোন রূপকথা নয়, এটি আমাদের চোখের সামনে রয়েছে যে আজকে রাজশাহী সারাবিশে^র মধ্যে একটি পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর শহরে পরিণত হয়েছে। অনেক পরিকল্পনা তিনি নিয়েছেন, আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে আমাদের ভুল করলে চলবে না।  আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, নির্বাচনকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র রুখতে হবে। আমি অনুরোধ করবো আপনাদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব দলে দলে সবাইকে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হবেন, সকল ষড়যন্ত্রের জবাব হিসেবে লিটন ভাইকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।

পথসভায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, সহ-সভাপতি সৈয়দ শাহাদত হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আহসানুল হক পিন্টু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, জাসদ রাজশাহী মহানগরের সভাপতি আবদুল্লাহ-আল-মাসুদ শিবলী, মহানগর ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, বোয়ালিয়া থানা (পশ্চিম) আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিয়াম, রাজশাহী জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী আজম সেন্টু, পুঠিয়া  উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু, বাঘা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু, গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, নাচোল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল কাদের, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, নন্দীগ্রাম এর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান  ইসহাক আলী, আদমদিঘী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম রাজু, সিংড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল  ইসলাম, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান, সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, গাবতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফি নেওয়াজ খান রবিন সহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।

স্ব.বা/বা
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *