তানোর আওয়ামী লীগের মাঠ গোছাতে ময়নার কোন বিকল্প নাই  

রাজশাহী

সারোয়ার হোসেন,তানোর: রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের মাঠ গোছাতে ও শক্তিশালী করে তুলতে উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়নার কোন বিকল্প নাই। বর্তমান তানোরে আওয়ামী লীগের যে হযবরল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক বেগ পেতে হবে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে। একদিকে এমপি বিরোধীদের তান্ডব’অন্যদিকে এমপির পক্ষের নেতাকর্মীদের মনো দ্বন্দ্ব।

 

নেতাকর্মীদের অভিযোগ,বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপনের নিজস্ব বলয় তৈরি করতে নেতৃত্বের অপব্যবহার করে দলের সক্রিয় নেতাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি করায় দলের মধ্যে হযবরল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। নেই নেতাকর্মীদের মধ্যে চেইন অব কমান্ড। তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন,দলের সুদিনে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে বগলদাবা করে তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন নিজেদের ইচ্ছে মতো নিজ নিজ বলয় তৈরি করতে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিবাদ সৃষ্টি করে দলের নেতাকর্মীদের দু’ভাগে ভাগ করে দল পরিচালনা করেচেন। তাঁরা এমপির চোখে ধুলো দিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়েছেন। আর লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হয়ে শুধু এমপির হাতকে শক্তিশালী করতে দিনরাত মাঠে পরিশ্রম করে গেছেন। আর যখন রাব্বানী মামুনের সকল পরিকল্পনা এমপির কাছে ধরাশায়ী হলো’ তখন এমপির কাছে থেকে সটকে পড়েন রাব্বানী ও মামুন। এতে করে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের মধ্যে নেমে আসে চরম দুর্দিন। তবুও হতাশ না হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে মাঠ গোছাতে আরো সক্রিয় হয়ে পড়েন চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার ময়না। শুরু করেন ৭টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কর্মীসভা,বর্ধিতসভা,মাসিক নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনা সভা। ফলে নতুন করে সুসংগঠিত হয়ে উঠতে শুরু করে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দলের ভিতরে ফিরতে লাগে প্রাণচাঞ্চল্য। শুধু তাই না, এমপির কাছে থেকে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে রাব্বানী মামুন মাঠে এমপি বিরোধী কর্মকান্ড শুরু করলেও ময়নার নেতৃত্বে ২০১৮সালে ব্যাপক নেতাকর্মী সমর্থকদের প্রচেষ্টায় বিপুল ভোটে বিজয়ী হন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী।

জানা গেছে, যুবলীগের সংগঠনে আশার পর থেকে তার সকল মেধা যোগ্যতা দিয়ে তিল তিল করে আজ যুবলীগ সহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনকে চাঙ্গা করেছেন চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না।
তিনি,২০০১ সালে প্রথম যুবলীগে প্রদায়ন করেন। তার পর থেকেই এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর দিকনির্দেশনায় শুরু করেন তানোর উপজেলাতে বিএনপির ঘাটি থেকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে রুপান্তর করার চেষ্টা। এতে চেয়ারম্যান ময়নার সৎ সাহস নিয়ে এগিয়ে চলার রাজনীতি সফল হিসেবে আওয়ামী লীগকে আজ তানোর উপজেলাতে একটি শক্তিশালী দল হিসেবে পরিনত হয়েছে।
তৃণমূল আওয়ামী লীগের বেশকিছু প্রবীণ নেতারা জানান, একসময় তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন মিলে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের সব দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সময় রাব্বানী ও মামুন ছাড়া কাউকে আওয়ামী লীগের ব্যানারে কোন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠান করতে দেয়া হয়নি। এমনকি যুবলীগের কোন নেতাকর্মীদের কোন দলীয় প্রোগ্রামে আসতে দেয়া বা জানানো হতনা।
সেই সময় চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়নাকে বাদ রেখে এমপির কাছ থেকে দূরত্ব সৃষ্টি করে গোলাম রাব্বানী ও মামুন আওয়ামী লীগের সবকিছু কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আশার পর থেকে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর প্রায় ১০বছর ক্ষমতা ভোগ করেছেন তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। তারা দুইজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বচ্চ পদে থেকে আওয়ামী লীগের সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা সহ এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর আমলে দলের উন্নয়নের চেয়ে নিজেদের উন্নয়ন বেশি করেছে। যার কারণে উপজেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থকদের কোন পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। তানোরে আওয়ামী লীগ দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকলেও এখানে বিএনপির দাপট ছিল চলমান। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও গোলাম রাব্বানী ও মামুন কখনো আওয়ামী লীগের সুদিনে দলকে শক্তিশালী করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে একতাবদ্ধ সৃষ্টি করতে পারেনি।
বরং তাঁরা দুইজন এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে বিএনপি জামাতের সাথে  আঁতাত করে  চলেছেন। যা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তাদের মুখোশ উম্মচন হয়। যখন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরপর দুইবার আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী গোলাম রাব্বানীকে করা হয়। তখন তার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন দলের নির্দেশ অমন্য করে তার সভাপতির বিরুদ্ধে সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট করেন।
যায় ফলে আওয়ামী লীগ বার বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির কাছে পরাজিত হন। তবুও আব্দুল্লাহ আল মামুন কে মাফ করে আওয়ামী লীগের পদ সাধারণ সম্পাদক বহাল রাখেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। তার পরেও সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক মামুনের মনের মিল না থাকায় আরো চরম মানবেতর দূর্দিনে পড়তে হয়েছিল আওয়ামী লীগ কে। তারা দুইজন নিজেদের অনুসারী নিয়ে যে যার মত আওয়ামী লীগের সংগঠন পরিচালনা করতো। যার ফলে তানোরে দিন দিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুন্যের কোটায় নেমে যাচ্ছিলো।
 ঠিক তখনই বিশাল বটগাছ হয়ে আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়ালেন যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না। ময়না যুবলীগের সংগঠনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে সমন্বয় করে দিনের পর দিন উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এক পান্তর থেকে আরেক পান্তর ছুটে চলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় ও সভা সমাবেশ করে আওয়ামী লীগকে একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করেছেন।
তানোর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না বলেন, আমি যুবলীগে আসার পর থেকে আমার সমস্ত মেধা যোগ্যতা দিয়ে আওয়ামী লীগের সংগঠনকে একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে পরিনত করার চেষ্টা করে গেছি। যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলো তখন থেকে আওয়ামী লীগ ছাড়া আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের দল গুলোকে কোন সুযোগ সুবিধা না দিয়ে গোলাম রাব্বানী ও মামুন সব সুবিধা ভোগ করে আওয়ামী লীগ দলকে পরিচালিত করেছেন। তবুও আমি হাল ছাড়িনি। শত কষ্টের মধ্যে আমি আমার যুবলীগ কে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি জামাতের সাথে রাজপথে লড়াই করে আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করেছি। আজ আল্লাহ তায়ালা আমাকে হয়তো সেই ধৈর্যের ফল হিসেবে সম্মান দিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন উপজেলা বাসীর পাশে থেকে তাদের সেবা করে যাব। আজ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ও ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি আছে বলেই তানোরের মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারছে। নয়তো বিএনপি জামাত ক্ষমতায় থাকলে এদেশের সম্পদ চুরি করে বিদেশে পাচার করতো। বিএনপি জামাত আগুন সন্ত্রাসের দল। আজ এদেশের জনগণ জামাত বিএনপিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে কোন বেঈমান মিজাফরের জায়গা নেই আর ভবিষ্যতেও হবেনা।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *