পিঁয়াজের পর এবার শঙ্কা চিনির বাজার নিয়ে

জাতীয় বিশেষ সংবাদ লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: পিঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক আরোপের পর এবার চিনি রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। যা অক্টোবর থেকে কার্যকর করতে যাচ্ছে দেশটি। এতে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে দেশের বাজারেও। যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি, বাংলাদেশ ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ অন্য দেশ থেকে প্রক্রিয়াজাত ও অপরিশোধিত চিনি আমদানি করে।

তাই ভারতের চিনি রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তের কোনো প্রভাবই পড়বে না দেশের বাজারে। দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দেশে চিনি পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ বেশির ভাগ চিনি আমদানি করে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে। তাই ভারত চিনি রপ্তানি বন্ধ করলেও এর কোনো প্রভাব দেশের বাজারে পড়বে না।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ভারতের ওই ঘোষণার কোনো প্রভাব এখন পর্যন্ত খাতুনগঞ্জে পড়েনি। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে বছরে ১৮ থেকে ২০ লাখ টন চিনির চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১ লাখ টন দেশে উৎপাদন হয়। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ অন্য দেশ থেকে চিনি আমদানি করা হয়।

দেশে চিনির পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। আমদানি চেইনও স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভারতের চিনি রপ্তানি বন্ধের সুযোগ নিয়ে বাজার কারসাজি ও দাম বাড়ানোর সুযোগ নিতে পারে। অতীতেও দেখা গেছে নানা অজুহাতে চিনির দাম দুই থেকে তিন গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। জানা যায়, সাত বছরের মধ্যে এবারই প্রথম ভারত চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।

পাশাপাশি থাইল্যান্ডও চিনি রপ্তানি কমাতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে প্রক্রিয়াজাত ও অপরিশোধিত চিনি রপ্তানিকারক দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ওপর চাপ বাড়বে। এ দুটি দেশ চাহিদামতো চিনির জোগান দিতে না পারলে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে দেশের বাজারে।

এর আগে ভারতের পিঁয়াজ রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপ করার খবর চাউর হলে দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে একদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি এ পণ্যটির দাম বেড়ে যায় ১৮ থেকে ২০ টাকা। বৃহস্পতিবার খাতুনগঞ্জে পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা কেজি। খোলা বাজারে দেশি পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। আমদানি পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। সরকার বৃহস্পতিবার চীন, মিসর, পাকিস্তান, তুরস্ক, মিয়ানমারসহ ৯টি দেশে থেকে পিঁয়াজ আমদানির অনুমতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খাতুনগঞ্জের আড়তদার সোলায়মান বাদশা বলেন, ‘খাতুনগঞ্জে কয়েকটি সিন্ডিকেট রয়েছে, যারা সুযোগ পেলেই কারণে-অকারণে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে। তারা একদিনেই পিঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১৮ থেকে ২০ টাকা বৃদ্ধি করেছে। চিনির ক্ষেত্রেও তারা এ ‘সুযোগ’ নিতে পারে। তিনি প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন যেন কারসাজি হওয়ার আগেই চিনির বাজারে মনিটরিং বাড়ানো হয়।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *