তানোরে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই চলছে অবৈধ চুলের কারখানা 

রাজশাহী
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধ চুলের কারখানা তৈরি করে রমরমাভাবে ব্যবসা করছেন সেলিম নামের এক ব্যক্তি বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপির)  মাদারিপুর বাজারে কারখানায় ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই চলছে চুলের ব্যবসা। শুধু একটি কারখানা না নিয়ামতপুর ও তানোরসহ আশপাশে কয়েকটি কারখানা খুলে ব্যবসা করে কয়েক বছরের মধ্যেই আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন। এতে করে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অথচ যে কোন ব্যবসা করতে হলে ট্রেড লাইসেন্স নিতেই হবে। ফলে সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপির) মাদারিপুর বাজারে বিশাল কারখানা খুলে চুলের ব্যবসা করে আসছেন সেলিম নামের একব্যক্তি। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন ধরনের ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা করে আসছেন সেলিম। বিশেষ করে ইউপি ও পৌর এলাকার পানের দোকান দিলেও ট্রেড লাইসেন্স লাগে। কিন্তু সেলিম কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে চুল দিয়ে বিভিন্ন প্রডাক্ট তৈরি রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ট্রাক যোগে রপ্তানি করে থাকে। আবার ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও সচিবের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে।
ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চুল ব্যবসায়ী সেলিম হঠাৎ ট্রেড লাইসেন্স নিতে ইউনিয়ন পরিষদে আসেন। আমি তার কারখানায় বিভিন্ন কাগজ পত্র বা কোন প্রতিষ্ঠান অনুমতি দিয়েছেন এসব কাগজ না দেখালে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া যাবেনা। সে আমাকে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি এজন্য ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়নি এবং কাগজপত্র না দেখাতে পারলে লাইসেন্স দেওয়া হবে না। ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া চুলের কারখানা কিভাবে চলে এবং এটা কি অবৈধ না জানতে চাইলে সচিব জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স না নিলে এক প্রকার অবৈধই বলা চলে।
অথচ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদ বলেন, আগেই ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছিল। সচিব বলেছে দেওয়া হয়নি জানতে চাইলে তিনি জানান খতিয়ে দেখা হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা সিফাতের সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *