তানোরে হাটের জায়গা দখল নিয়ে উত্তেজনা

রাজশাহী
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে পৌর এলাকার তালন্দ হাটের কোটি টাকা মূল্যের ভিপি সম্পত্তি দখল নিতে বাজার বনিক সমিতি ব্যানার লাগিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকালের দিকে ব্যানার লাগনোর ঘটনা ঘটে রয়েছে  । এদিকে ওই জায়গার পিছনে সাফায়াত হোসেন  মাবুদ নামের এক ব্যক্তির জায়গা থাকায় তিনি খনন করে ইট দিয়ে গেথে রেখেছেন। এতে করে ভিপি জায়গা দখল নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফলে জায়গাটি নিয়ে সুষ্ঠু সমাধান না হলে সংঘর্ষের আশংকা করছেন জনসাধারণ।
সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর টু তালন্দ রাস্তার পূর্ব দিকে তিন শতাংশ ভিপি জায়গা রয়েছে। জায়গাটির দক্ষিণ দিকে স’মিল রয়েছে। ওই জায়গার পিছনে তালন্দ কলেজ পাড়ার মৃত হামিদুর রহমানের পুত্র মাবুদের জায়গা রয়েছে। সে দীর্ঘ দিন ধরে সামনের পজিশন দখলে নিয়ে ভাড়া দিতেন। কিন্তু হঠাৎ সোমবার সকালে তালন্দ বাজার বনিক সমিতির ব্যানার সাটিয়ে দখলে নিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ব্যানার লাগানো জায়গার পিছনে রয়েছে মৃত হামিদুর রহমানের জায়গা। তিনি মারা যাওয়ার পর থেকে জায়গাটি দেখভাল করে আসছেন তার ছেলে সাফায়াত হোসেন মাবুদ। যেহেতু পিছনে কারো জায়গা থাকলে সামনের জায়টির পজিশন সে ব্যক্তি দখল করে থাকে। দীর্ঘ দিন ধরে জায়গাটিতে স্বমিলের কাঠ রাখা হত। সোমবার হঠাৎ করে বনিক সমিতির সভাপতি ইব্রাহিমের নেতৃত্বে বাঁশের খুটি ও ব্যানার সাটিয়ে দখলে নিয়েছেন। কোন অনুমতি ছাড়াই গায়ের জোরে ব্যানার মেরেছেন। জায়গাটি একজনের দখলে ছিল ব্যানার খুটি মারতে হলে উপজেলা ভূমি অফিসের অনুমতি নিয়ে মারবে। সেটা না করে সোমবার সকালের দিকে বনিক সমিতি মিটিং করে তারা কিছু জায়গা নিচ্ছেন আর সাফায়েত হোসেন মাবুদ কে কিছু দিচ্ছেন। হাটের আশপাশে অনেক খাস জায়গা রয়েছে সেগুলোতে বনিক সমিতি না গিয়ে এজায়গার উপর লোভ কেন বুঝে উঠতে পারা যাচ্ছে না।
হামিদুর নামের এক ব্যক্তি বলেন,  বনিক সমিতি অফিস ঘর নির্মান করলে যাতায়াত করা যাবে না। কারন জায়গাটির পূর্ব দিকে বসত বাড়ি রয়েছে।  আমাদের অনুরোধ কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে এসে তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
বনিক সমিতি সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন বলেন, আমরা কয়েকদিন আগে জানতে পেরেছি ১৫৬ নং তালন্দ মৌজার ৩১৬ নম্বর আরএস খতিয়ানে ১০৯৫ নম্বর আরএস দাগে তিন শতাংশ  ভিপি জমি রয়েছে। আমাদের বনিক সমিতির কোন বসার জায়গা নেই । যার কারনে আলোচনা করে সোমবার সকালে কিছু বাঁশের খুটি ও ব্যানার সাটিয়েছি। আপনারা কি ভূমি অফিস থেকে অনুমতি নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি সহ আরো কয়েকজন জানান, আমরা মৌখিকভাবে অনুমতি চেয়েছি। কে অনুমতি দিয়েছেন প্রশ্ন করা হলে কোন উত্তর না দিয়ে বলেন, ঘর করা হবে প্রশাসন নিষেধ করলে করবনা। আর মঙ্গলবারে লীজের জন্য আবেদন করা হবে। লীজ না নিয়ে আগে দখল করা যায় কিনা জানতে চাইলে সভাপতি বলেন এটাতো কারো বা কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে না।
মৃত হামিদুর রহমান ছেলে সাফায়াত হোসেন মাবুদ বলেন, আমার পিতা বাজার বনিক সমিতি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিল। জায়গাটির পিছনে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে আমরাই ভোগদখল করে আসছি। হঠাৎ করে বনিক সমিতির সভাপতি ইব্রাহিম দলবল এনে খুটি ও ব্যানার মেরে দখলে নেন। তবে সন্ধ্যার আগে উপজেলা প্রশাসন থেকে লাল নিশানা লাগিয়ে গেছেন। এই জায়গাটি লীজের জন্য আমার আবেদন করাও আছে।
সহকারী কমিশনার ভূমি আবিদা সিফাতের সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *