মোঃ রওশন আলম, মান্দা, নওগাঁ: ‘মৃৎ’ শব্দের অর্থ মৃত্তিকা বা মাটি আর ‘শিল্প’ হচ্ছে সৃষ্টিশীল বস্তুকে বোঝানো হয়েছে। এজন্য মাটি দিয়ে তৈরি সব শিল্পকর্মকেই মৃৎশিল্প বলা হয়।
এক সময় কুমার-কুমারিদের হাতের কারুকার্যে তৈরি পরিবেশ বান্ধব মাটির জিনিসের কদর ছিল গ্রাম বাংলার সব মানুষের কাছে। আধুনিকতার ছোঁয়া ও সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে বাজারে অ্যালুমিনিয়াম, কাঁসা-পিতল, স্টিল, কাস্টিং সহ বিভিন্ন মেটালের সামগ্রীর ভিড়ে প্রায় বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎ শিল্প।
দেশের বিভিন্ন স্থানের মত নওগাঁর মান্দায় হারিয়ে যেতে বসেছে মৃৎ শিল্প। বদলে যাচ্ছে কুমারপাড়ার দৃশ্য। এক সময় এশিল্পের কারিগরেরা ব্যাস্ত থাকতো দিন রাত। সময়ের পরিবর্তনে কুমারপাড়ার চাকা আজ আর তেমনটি ঘোরে না। মাটির ব্যাংক,পুতুল, হাঁড়ি-পাতিল, সরা,ঘটি, ঢোকষা,কলসি, বদনার কদর এখন প্রায়ই শূন্যের কোটায়।
একটা সময় এ শিল্পের মালামাল স্থানীয় এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও সরবরাহ করা হত। কুমার শ্রী অসিত চন্দ্র পাল জানান, আগের মত আর মাটির জিনিস পত্রের চাহিদা নাই ব্যবসা তেমন হচ্ছে না দিন যাওয়াই এখন কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাপ দাদার পেশা তাই করতে হচ্ছে অন্য কাজ তো করতে পারিনা। আরেক জন জানান, তাদের জিনিস পত্রের বেচাকিনা নাই আর্থিক ভাবে সমস্যায় আছি। আমরা কাজ করছি জীবিকার তাগিদে তবে আমরা কোন সরকারি বা বেসরকারি সহযোগিতা পায় না।
সচেতন মহলেন দাবি এ মৃৎ শিল্প ধরে রাখতে হলে সরকারী বেসরকারী সংস্থার সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।