গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ভেসে আসছে আর্তনাদ, উদ্ধারের কেউ নেই

আন্তর্জাতিক লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: গত ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার জের ধরে টানা ১১ দিন ধরে গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েলি বাহিনী। একের পর এক বোমার আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজার অসংখ্য এলাকা। সর্বশেষ সোমবার রাতভর দক্ষিণ গাজার রাফাহ ও খান ইউনিসের আবাসিক এলাকায় বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অসংখ্য ভবন বিধ্বস্ত হয়ে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচেও আটকা পড়েছেন অনেকে।

মঙ্গলবার আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে যারা আটকে পড়েছেন তাঁদের উদ্ধারের জন্য কেউ এগিয়ে আসছে না। উদ্ধার তৎপরতার জন্য নেই কোনো সরঞ্জামও।

গাজার এ ধরনের পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছেন আহমেদ শাহীন নামে এক চিকিৎসক। বসনিয়ার স্বাধীন গণমাধ্যম ইস্ত্রাগাকে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরও খারাপ হচ্ছে। বোমা হামলা থামেনি, এখনো চলছে। চতুর্দিকে তারা বোমা ফেলছে।’

শাহীন আরও বলেন, অনেকেই বিধ্বস্ত ভবনের নিচে চাপা পড়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ভেসে আসা চিৎকার শুনতে পাচ্ছি আমরা, কিন্তু কিছুই করতে পারছি না। হাসপাতালগুলোও এখন আহত আর মৃতদেহে ভরে গেছে। এই ভীতিকর পরিস্থিতি বর্ণনা দেওয়ার মতো না।’

বিদ্যুৎ ও পানি না থাকায় পরিস্থিতি সবচেয়ে জটিল আকার ধারণ করে বলেও জানান ওই চিকিৎসক।

হামাস-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে আল-জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন কমপক্ষে ১ হাজার ২০০ মানুষ। এর মধ্যে প্রায় ৫০০ শিশু রয়েছে। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া মানুষের সংখ্যা আরও বেশিও হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।

আলী আহাদ নামে ৩৭ বছর বয়সী গাজার এক বাসিন্দা সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেন, ‘পাশের ভবনটি বোমার আঘাতে মাটিতে মিশে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো উদ্ধারকর্মীকে এখানে আসতে দেখিনি।’

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *