নতুন ঋণ ও আমানতের সুদ হার বাড়ছে

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ১ নভেম্বর থেকে আমানত ও ঋণের সুদের হার আরও বাড়াতে পারবে। এ হার নির্ধারণের জন্য ৬ মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদের হারকে ভিত্তি হিসাবে ধরা হয়। এর সুদের হার সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে বেড়েছে দশমিক ২৩ শতাংশ। ফলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও ওই হারে নতুন ঋণ ও আমানতের ক্ষেত্রে সুদ হার বাড়াতে পারবে।

তবে আগে বিতরণ করা ঋণ ও আমানতের বিপরীতে সুদ হার বাড়াতে হলে ওই তারিখ থেকে ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি মাসে ৬ মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদের হার প্রকাশ করছে। এর ভিত্তিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ ও আমানতের সুদের হার নির্ধারন করে। সেপ্টেম্বরে ওই বিলের গড় সুদ হার ছিল ৭ দশমিক ২০ শতাংশ। অক্টোবরে তা বেড়ে ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

আলোচ্য এক মাসের ব্যবধানে এ সুদের হার বেড়েছে দশমিক ২৩ শতাংশ। অক্টোবরের ট্রেজারি বিলের গড় সুদের হারের সঙ্গে ব্যাংকগুলো পল্লী, কৃষি ও রপ্তানি শিল্পে প্রাক জাহাজীকরণ ঋণের বিপরীতে সর্বোচ্চ আড়াই শতাংশ এবং অন্যান্য ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ শতাংশ যোগ করতে পারবে। এ হিসাবে পল্লী, কৃষি ও প্রাক জাহাজীকরণ ঋণের সুদের হার হবে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

অন্যান্য ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার হবে ১০ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আমানতের বিপরীতে সুদের হার নির্ধারণের ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট বিধিনিষেধ দেওয়া হয়নি। তবে ব্যাংকগুলো তাদের তহবিল ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমানতের সুদের হার নির্ধারণ করতে পারবে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আমানতের সুদের হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ আড়াই শতাংশ ও ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ শতাংশ যোগ করতে পারবে। এ হিসাবে আমানতের সর্বোচ্চ সুদ হবে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ ও ঋণের সর্বোচ্চ সুদ হবে ১২ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

জুলাই থেকে আইএমএফ’র ঋণের শর্ত বাস্তবায়ন করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সীমিত আকারে বাজারভিত্তিক সুদ হার চালু করে। এর আলোকে এখন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সুদ হার আরোপ করছে। ফলে জুলাই থেকেই সুদ হার বাড়তে শুরু করেছে। যা গত ৩ মাস ধরে ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে।

১ নভেম্বর থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব ঋণ বিতরণ বা আমানত সংগ্রহ করবে সেগুলোতে বাড়তি সুদ আরোপ করতে পারবে। তবে আগে বিতরণ করা ঋণ ও নেওয়া আমানতের ৬ মাস অতিক্রম করার পর বাড়তি সুদ আরোপ করতে পারবে। কারণ একদফা সুদ আরোপ করার পর ৬ মাস আগে সেগুলো পরিবর্তন করা যাবে না। ১ জুলাই থেকে সুদ আরোপের নতুন পদ্ধতি কার্যকর হয়েছে। ফলে জানুয়ারির আগে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আর সুদ বাড়াতে পারবে না।

এদিকে সরকার বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে বেশি মাত্রায় ঋণ নেওয়ায় ট্রেজারি বিলের সুদের হার বেড়েই চলেছে। আগস্টে ৬ মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদ হার ছিল ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ, জুলাইয়ে ৭ দশমিক ১০ শতাংশ ও জুনে ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। এর সুদ হার আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে অক্টোবরে বেশি বেড়েছে।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *