তানোরে রাস্তার ইউড্রেন নির্মানে ব্যাপক অনিয়ম

রাজশাহী লীড
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে রাস্তার ইউড্রেন নির্মানে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কাজের শুরুতে গ্রামবাসী বাঁধা দিলেও ঠিকাদার ও এলজিইডি কর্তৃপক্ষ সেই বাঁধা উপেক্ষা করে কাজ করেই যাচ্ছেন বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপির)  রঘুনাথ পুর গ্রামে ঘটে রয়েছে এমন কাল্পনিক অনিয়ম কাজের ঘটনা। কাজের সময় অফিসের ও ঠিকাদার কেউ থাকছেন না। ফলে ইচ্ছে মত কাজ করছেন ঠিকাদারের ম্যানেজার ও মিস্ত্রিরা।
ঠিকাদারের ম্যানেজার পারভেজ বলেন, গ্রামের লোকজন না যেনে না বুঝে কাজের অনিয়মের কথা বলছেন। তারা মনে করেছিল কার্লভাট নির্মান করা হচ্ছে। কিন্তু এটাতো কার্লভাট না ইউ ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। কার্লভাট এক জিনিস ইউড্রেন আরেক জিনিস। সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। কোন অর্থ বছরের কাজ বা ঠিকাদার দরপত্রে পেয়েছেন নাকি কিনে জানতে চাইলে তিনি জানান, সিডিউল অফিসে আছে, আর ৬ টি ইউড্রেন ও রাস্তা রিপিয়ারিং কাজগুলো শহরের ঠিকাদার মুকছেদ ও হাসিব কিনে করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপির)  রঘুনাথ পুর গ্রামের কাশেমের বাড়ির সামনে ইউড্রেনের নিচে ঢালায় দেয়া হয়ে গেছে। উপরে ঢালায় দেয়ার জন্য সাটারিং তৈরি করছে মিস্ত্রিরা। তাদের সাথে কথা বলতেই কাশেম,আনিসুর রমজান ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি ইয়াদালিসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগে পানি নামার জন্য চুং দেয়া ছিল। গত অক্টোবর মাসের ভারি বর্ষনের কারনে চুং দিয়ে জোর গতিতে পানি নামতে পারেনি। অনেক বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছিল।  চুং দিয়ে যে গতিতে পানি নেমেছে ইউড্রেন দিয়ে সে গতিতে  পানি নামবে না। আবার যত সামান্য রোড দিয়ে নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করে ঢালাই দেয়া হয়েছে।  যেভাবে কাজ করা হচ্ছে একবার মালবাহী ট্রাক উঠলে ভেঙ্গে তচনচ হয়ে পড়বে। আর কিছু উঁচু করলে ভালো হত।
জানা গেছে, রঘুনাথ পুর গ্রামের কাশেমের বাড়ি, হারন মাস্টারের বাড়ি, মুনসুরের বাড়িসহ ওই রাস্তায় ছয়টি ইউড্রেন নির্মান করা হবে। ইউড্রেনের দৈর্ঘ্য সাত মিটার প্রস্থ বাহিরে এক মিটার, ফকর দুই ফিট, উচ্চতা দুই ফিট, আরসিসি ঢালাই নিচে ৬ ইঞ্চি উপরে ৮ ইঞ্চি।
কাজের দায়িত্বে থাকা এসও শাহিন সালাম বলেন, ছয়টি ইউড্রেন ও রাস্তা রিপিয়ারিং হবে। সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। কোন অনিয়ম করা হয়নি। গ্রামের মানুষেরা না জেনে ইটের গাথুনি উঁচু করতে বলছেন। কিন্তু ডিজাইনের বাহিরে কাজ করা যাবেনা। কাজগুলো কিনে করছে এবং বরাদ্দ কত জানতে চাইলে তিনি বলেন অফিসে গিয়ে ফাইল দেখে বলতে পারব।
ঠিকাদার হাসিব বলেন, আমি সাইডে যায় না, ম্যানেজার ও মিস্ত্রিদের অভিজ্ঞতা আছে কাজ করার। এজন্য কারো প্রয়োজন হয়না। কাজটি নাকি কিনে করছেন জানতে চাইলে তিনি জানান এসব অফিসে গিয়ে জানতে বলেন তিনি।
১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও কামারগাঁ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন প্রামানিক বলেন, পানি নামানোর জন্য ইউড্রেন করা হচ্ছে। কিন্তু যে ভাবে কাজ করেছে তাতে করে পানি নামবেনা। আমি এলজিইডির কর্মকর্তাদের বলার পরোও তারা একই নিয়মে কাজ করছে। কাজগুলো একেবারেই নিম্নমানের হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, নিয়ম অনুযায়ী কাজ না হলে বিল দেয়া হবেনা।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *