তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে পূর্ববিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে বসে আনতে প্রতিপক্ষ ধানের গাদায় আগুন দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) চিমনা পুর্বপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে এঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে, ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য (মেম্বার) আব্দুল্লাহ পলাশের দাবী মাড়ায়ের জন্য রাখা তার ৫ বিঘা জমির ধান পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পুর্ববিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী ইজু মোল্লা। এতে তার প্রায় দেড় লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিক ইজু মোল্লা বলেন, বিএনপি নেতা সাবেক মেম্বার পলাশ তার লোকজন দিয়ে নিজেই আগুন দিয়ে তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করচ্ছেন। তিনি বলেন, পূর্ববিরোধের জের ধরে পলাশ দীর্ঘদিন যাবত তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক বিভিন্ন অপকর্ম করে দোষ চাপাচ্ছেন। পলাশ বিএনপির একজন সক্রিয় নেতা,সে আওয়ামী লীগের সুনাম নষ্ট করতে এসব অপকর্ম করে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্টের অপতৎপরতা শুরু করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পলাশের পুড়ে যাওয়া ধানের গাদা দেখে মনে হয়েছে এখানে সর্বোচ্চ একবিঘা জমির ধান ছিল। অথচ তিনি দাবি করেছেন ৫ বিঘা জমির ধান ছিল। এছাড়াও নিচে খড় ও উপরে ছিল ধান সেটা দেখে তাদের মনে হয়েছে এটা সাজানো ঘটনা। এই সাবেক পলাশ মেম্বার গ্রামের বেশকিছু পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছে। এমনকি মানুষের কবরের উপর দিয়ে জোরপূর্বক পানির লাইন নিয়ে গেছেন।
অন্যদিকে আগুন দেয়ার ঘটনায় পলাশ বাদি হয়ে ইজু মোল্লাকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নামে আদালতে মামলা করেছেন। সচেতন মহলের প্রশ্ন একটি ধানের গাদা পোড়াতে কি ১৬ জন মানুষের প্রয়োজন হয়, তাহলে এতো মানুষের নামে মামলা দেয়ার রহস্য কি ? এছাড়াও যদি সত্যি এতো বড় অপরাধ সংঘটিত হয়, তাহলে স্থানীয় থানায় মামলা বা অভিযোগ করার কথা। কিন্ত্ত স্থানীয় থানায় অভিযোগ বা মামলা না করে সরাসরি আদালতে মামলা ও ১৬ জন মানুষকে আসামি করায় ঘটনা রহস্যজনক বা সাজানো বলে মনে করছেন গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠরা।