আবারও জেএমবি ও সর্বহারা’র আস্তানা বানানোর পায়তারা ভুলে যান: কালাম

রাজশাহী

নিজস্ব প্রতিনিধি: নানা সমালোচনায় সমালোচিত ও বহু নারী কেলেংকারীর ঘটনায় জড়িত ও ভাইরাল হয়ে দল ও বাগমারা’র ভাবমূর্তি নষ্ট করা রাজশাহী-৪ আসনের ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এবার নৌকা বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেঁচি প্রতীকে নির্বাচন করছেন। বাগমারায় জনপ্রিয়তা হারিয়ে বহিরাগত জেএমবি ও সর্বহারা’র উত্তরসূরী দিয়ে নির্বাচনের মাঠ উত্তাপ ছড়ানোসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের লিপ্ত হয়েছেন।

আবারও জেএমবি ও সর্বহারা’র আস্তানা বানানো পায়তারা বা তাদের দিয়ে অপচেষ্টার কথা ভুলে যান।বাগমারা’র মানুষ তাঁদের ভাগ্য পরিবর্তনে শুরু’র লড়াইয়ে ইতোমধ্যে জয় লাভ করেছেন। দীর্ঘদিনের দাবিতে মাঝি পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে বাগমারায়। এবার আসন্ন ৭ জানুয়ারিতে ভোট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাগমারায় নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে চায় বাগমারাবাসী। এমনটাই বললেন হাটগাঙ্গোপাড়ার বাড়িগ্রাম মাদ্রাসা মাঠের বিশাল জনসভার বক্তারা।

৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর (শনিবার ও রোববার) শুভডাঙ্গা ও ঝিকড়া ইউনিয়নে পথসভা ও জনসভাসহ গণসংযোগ কালে আ’লীগের নেতা কর্মীরা এমন বক্তব্য দিয়েছেন। এসময় আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা মাঝি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদও বাগমারাবাসীর নিকট ভোট প্রার্থনাসহ উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে একবার নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ চেয়েছেন।

পথসভা ও জনসভাসহ বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ কালে নৌকা প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি হাইব্রিড আ’লীগ না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতিসহ তাহেরপুর পৌরসভার সফল মেয়র হওয়ার কথাগুলো বাগমারাবাসীদের জানান। যেভাবে তাহেরপুর পৌরসভার উন্নয়ন হয়েছে ওই একইভাবে বাগমারা’র উন্নয়ন হবে। কোনো অপশক্তি অপতৎপরতা চালিয়ে নির্বাচন সমালোচিত করতে পারবে না।

যারা এমনটা করবেন তাঁদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এটা সর্বহারা, জেএমবি বাংলা ভায়ের আমল মনে করেন না। প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। আবারও জেএমবি ও সর্বাহারাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে লাভ নাই। আশ্রয় দিবেন, খুব ভালো, মনে রাখবেন আপনার বাগমারায় আপনারাই থাকতে পারবেন না। এদের চিনে রাখুন এরা আবারও জেএমবি’র আস্তানা বানাতে চায় বাগমারাকে। কিন্তু সে সুযোগ আপনাদের দেওয়া হবে না।
বাড়িগ্রাম মাদ্রাসা মাঠ জনসভায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের বিভিন্ন অপকর্ম ও অপতৎপরতায় রুখে দাঁড়ানো দ্বায়িত্বটাও বাগমারাবাসীকে নিতে হবে বলেও উল্লেখ্য করেন বক্তারা।

এদিকে ৩১ ডিসেম্বর ঝিকড়া ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের নিকট ভোট প্রার্থনাকালে নৌকার প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বপ্নে স্বপ্ন দেখি। তিনি যে উন্নয়নে অংশ নিতে আমাকে নৌকা দিয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে বাগমারাবাসী আমাকে এবার নির্বাচনে জয় লাভ করবেন বলে বিশ্বাস করি। বাগমারার মানুষকে উপহার দিবো স্মার্ট বাংলাদেশের মধ্যে মডেল ও ডিজিটাল উপজেলা। যেখানে থাকবে না কোনো অনিয়ম দূর্নীতি ও হয়রানি। সাধারণ মানুষ সেবা পাবেন তাঁদের দোরগোড়ায়।

জনসভা ও পথসভায় হাজার হাজার নারী পুরুষসহ শুভডাঙ্গা ও ঝিকড়া ইউনিয়ন আ’লীগে নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়ে এসময় নৌকায় ভোট দিবেন বলে অঙ্গিকার করেন। শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যায়ে বাগমারাবাসী এবার নৌকায় ভোট দিতে চায় বলে উপস্থিতরা জানান।

প্রতিবেদক উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে আলাপকালে এবার বাগমারায় নৌকাকে এগিয়ে রাখছেন বলে জানান।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *