মোঃ রওশন আলম,মান্দা নওগাঁ: মান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সোনাবরকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৭/৭/২০২৩ ইং তারিখ মান্দা থানাধীন ২ নং ভালাইন ইউনিয়নের আয়াপুর গ্রামস্থ পাগলিতলা মন্দির সংলগ্ন জনৈক রাজুর নেপিয়ার ঘাসের ক্ষেতে মলিনা (৪৯) নামের একজন মহিলার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যাকান্ডের মুল হোতা ঘাতক সোনাবর(৪৫) কে ফরিদপুর জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মৃত মলিনার সাথে আসামী সোনাবর এর মুঠোফোনে পরিচয় হয়। এরপর ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা পরষ্পরকে বিবাহ করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে ৬/৭/২০২৩ ইং তারিখ তারা বিবাহ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। সেদিনই তাদের প্রথম দেখা হয়।তারা একত্রে বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করে সন্ধ্যায় বিবাহ করার জন্য আসামী সোনাবর এর বাড়িতে যায়। কিন্তু ভিকটিম হঠাৎ তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এবং সোনাবরকে বিবাহ করতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। আসামী সোনাবর তখনই তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারই পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামী সোনাবর ভিকটিমকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে একত্রে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর পাগলিতলা মন্দিরের কাছাকাছি পৌঁছালে আসামী সোনাবর অতর্কিত ভাবে ভিকটিমের গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ঘাসের ক্ষেতে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।
মান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী জানান, সোনাবরকে গ্রেফতার করে নিয়মিত হত্যা মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।