তানোর প্রতিনিধি: বিলের ধানী জমির আইলে পরিকল্পিত ভাবে গমের সাথে দানাদার বিষ দিয়ে রাখেন কৃষক ডালার। রবিবার সকালের দিকে সেই বিষ খেয়ে অসহায় দরিদ্র ব্যাক্তিদের ১২ টির মত মুরগী মারা যায়।
রাজশাহীর তানোর পৌর সদর শীতলীপাড়া গ্রামে ঘটে মুরগী মারা যাওয়ার ঘটনাটি। এঘটনায় সুবিচার পেতে ডলারের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী দরিদ্র মৎস্য জীবিরা। এখবর ছড়িয়ে পড়লে ডলারের শাস্তিসহ ক্ষতিপূরুনের দাবি তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, পৌর সদর এলাকার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের পূর্ব দিকে শীতলীপাড়া গ্রাম। গ্রামের চারদিকে আবাদি জমি। জমিগুলোতে বোরো রোপন করা আছে। গ্রামের প্রায় সবাই মৎস্য জীবি বা বিল থেকে মাছ মেরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। গ্রামের নিচে উপজেলা ক্যাম্পাস এলাকার কৃষক হাজী ইউনুস আলীর ছেলে ডলারের জমি রয়েছে। জমির ধানগুলো কালচে আকার ধারন করেছে। এখনো ধানে শীষ গজায়নি।
শীতলীপাড়া গ্রামের মধুবালার ৪ টি, তারা বিবির ৪ টি ও রানীর একটি এবং গোলাপীর একটি মুরগী মারা যায়।
ভুক্তভোগীরা জানান, সংসারে একটু সাচ্ছন্দ্য আনতে মুরগী লালন পালন করে থাকি। গ্রামের চারদিকে ধানী জমি। ধানে এখনো শীষ গজায়নি। মুরগী খাবে এমন কিছুই নেই। শুধু হিংসাত্মক ভাবে ডলার জমির আইলে গমের সাথে দানাদার বীষ দিয়ে রেখেছিল মুরগীগুলো মেরে ফেলার জন্য। তার ভয়ে কেউ হাঁস লালন পালন করতে চায়না। গত বছরও তিনি গ্রামের কয়েক ব্যক্তির হাঁস বিষ দিয়ে মেরেফেলেছিল। প্রতি বছর মুরগী হাস মারলেও ভয়ে কেউ কিছুই বলতে পারেনা। তার জমির কাছে হাস বা ছাগল গেলেই খোয়াড়ে দেয়। কিন্তু মুরগীর কি অপরাধ যে গমের সাথে বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলতে হবে। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি ন্যায্য বিচার পাওয়ার জন্য।
কৃষক ডলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কেন জমির আইলে গমের সাথে বিষ দিব, আমি কি পাগল। হ্যাঁ হাস, ছাগল খোয়াড়ে দিই। তবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এত কৃষকের জমি থাকতে আপনার নামে কেন অভিযোগ করল জানতে চাইলে তিনি জানান, কেউ অভিযোগ করলেই যে সঠিক হবে কে বলেছে, তদন্ত করে দেখুক বলে দায় সারেন তিনি।
থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম বলেন, অভিযোগ আমার হাতে এসে পৌছেনি, পৌছলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।