স্বদেশ বাণী ডেস্ক: ক্যাসিনোর মাধ্যমে যারা অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সংস্থার জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ক্যাসিনোর মাধ্যমে যে বা যারা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। আজই দুদকের এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে। আর তদারকি কর্মকর্তা হলেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খান।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। এরপর সারা দেশে র্যাব ও পুলিশ অন্তত ৩৫টি অভিযানে ২৭০ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন যুবলীগ ও কৃষক লীগের তিন শীর্ষ নেতা। তবে এখনো ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটসহ নেপথ্যের অনেকে অধরা রয়েছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ক্যাসিনো ব্যবসা করে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন যুবলীগ ও কৃষক লীগসহ অনেক রাজনৈতিক নেতারা।
এরমধ্যে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, জি কে শামীমসহ বেশ কয়েকজনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কোটি কোটি টাকা ও স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার হয় সূত্রাপুরের দুই ভাই এনামুল হক ওরফে এনু ভূঁইয়া ও রুপন ভূঁইয়া। সর্বশেষ রাজধানীর মণিপুরিপাড়ায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো বেরিয়ে এসেছে অনেক ভিআইপি ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের নাম। দুদকে এদের সকলেরই সম্পদের অনুসন্ধান করবে বলে জানা গেছে।সূত্র: রাইজিংবিডি।
স্ব.বা/শা