নওগাঁর মহাদেবপুরে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৮

রাজশাহী

মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর মহাদেবপুরে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ২’শ জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার রাইগাঁ মাতাজীহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই লালন কুমার দাস বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুড়াইল গ্রামের পরেশের ছেলে প্রতাপ (৩৫), সুপথ মন্ডলের ছেলে রাম গোপাল (২৬), সনজিতের ছেলে বিশু (২৭), সুরেনের ছেলে সুচিত্র (৩০), সুরেনের ছেলে  শ্রী সুপথ (৪২), নিবাসের ছেলেআ সুইট (৩০) ও সবুজ (২৫), পরেশের ছেলে রিপন (৩০)।

জানা গেছে, কুড়াইল গ্রামের বুলন চন্দ্রের ছেলে হিলনের সাথে একই গ্রামের বিপ্লব চন্দ্রের কন্যা স্কুল ছাত্রী বন্যা রাণীর (১৩) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের সূত্র ধরে গত বুধবার বন্যা রানী পালিয়ে গিয়ে প্রেমিক হিলনের বাড়িতে ওঠে। বন্যা রাণীর পরিবার বিষয়টি পুলিশকে জানালে বৃহস্পতিবার রাতে মাতাজীহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই লালন কুমার দাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য প্রেমিক হিলনের বাড়িতে যায়। এ সময় হিলনের বাড়ির লোকজনের সাথে পুলিশের বাকবিতন্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে ওই গ্রামের প্রতাপের নেতৃত্বে একদল গ্রামবাসী পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ সদস্যরা মসজিদে আশ্রয় নিলেও সেখানে তাদের মারধর করে আটকিয়ে রাখে। খবর পেয়ে মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল ও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে আটকিয়ে রাখা পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেন। এ সময় গ্রামবাসীর হামলায় মাতাজীহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই লালন কুমার দাস, পুলিশ সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম, তজারুদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, টুটুল হোসেন, রুবেল হোসেন আহত হয়। আহতদের মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মাতাজীহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই লালন কুমার দাস বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রুহুল আমিন বলেন, পুলিশের উপর হামলাকারীদের মধ্যে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে অন্যদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *