স্বদেশ বাণী ডেস্ক: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উৎসব ঘিরে নওগাঁর রানীনগর উপজেলায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। আর মন্ডপে মন্ডপে চলছে সাজসজ্জার প্রস্তুতি। এ বছর রানীনগর উপজেলায় ৪৬টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার দুর্গাপূজার মন্দিরে মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। দেবীদুর্গার প্রতিমা ছাড়াও কার্তিক, গণেশ, ল²ী ও সরস্বতীসহ অন্যান্য প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন প্রতিমা কারিগররা। বেশিরভাগ মন্দিরেই প্রতিমা তৈরিতে মাটির কাজ প্রায় শেষপর্যায়ে। স্থানীয় কারিগর ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কারিগররা প্রতিমা তৈরি করছেন।
কারিগর নিরাঞ্জন চন্দ্র, নিমাই চন্দ্র ও দেবাশিষ জানান, আমরা প্রতি বছর প্রতিমা তৈরির কাজ করে থাকি। এ বছর করোনা পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় সবাই বেশ ভালোভাবেই পূজার প্রস্তুতি নিয়েছেন। সে কারণে প্রতিমা তৈরির কাজও বেড়েছে। এবার বেশ কয়েকটি মন্দিরের প্রতিমা তৈরি করছি।
রানীনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমল কৃষ্ণ সরকার বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সীমিত আকারে দুর্গাপূজা করেছি। এবার যেহেতু করোনার তেমন প্রকোপ নেই, তাই ভালোভাবেই দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আগামী ১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হবে এবং ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে পূজা।
রানীনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন করতে পারেন সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। টহল পুলিশ, পোশাকধারী পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রতিটি মন্দিরে পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও গ্রামপুলিশ মোতায়েন করা হবে।
স্ব.বা/রু