দক্ষিণ সুনামগঞ্জে হাওর রক্ষা বাধের কাজের টাকা না পাওয়ায় হতাশ পিআইসিরা

জাতীয় লীড

কাজী মোঃ জমিরুল ইসলাম মমতাজ (দক্ষিন সুনামগঞ্জ): হাওরাঞ্চলের জেলা দক্ষিণ সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষার জন্য ৫০ টি পিআইসিতে শুরু হয়েছে বাধের কাজ। শুরু থেকেই অনেক পিআইসির কাজ দ্রুত গতিতে চলছিল।

কিন্তু বাধের কাজের প্রথম কিস্তিতেই অনেক পিআইসি টাকা না পাওয়ায় তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা। ফলে বাধের কাজের ধীরগতির আশংকায় আছেন কৃষকরা।

কাজের প্রথম কিস্তিতেই ২৫% টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও উপর মহল থেকে বিল ছাড় না হওয়ায় টাকা পাননি অনেকে। টাকার অভাবে কাজ করাতে পারছেন না পিআইসিরা। অনেকেই টাকা পাওয়ার আশায় ধার দেনা করে টাকা এনে করাচ্ছেন বাধের কাজ।

এখন টাকা না পাওয়ায় চরম হতাশা আর চিন্তায় দিনপার করছেন তারা। যদি প্রথম কিস্তির টাকাটা সকল পিআইসিদের দ্রুত দেয়া হয় তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাধের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন তারা। উপজেলা পাউবো অফিস সূত্রে জানা যায়, ফসল রক্ষা বাধের জন্য প্রথম কিস্তিতেই ৫০ টি পিআইসির মধ্যে ১৫ টি পিআইসিকে ৭৫ লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছে। বাকি ৩৫ টি পিআইসির বিল ছাড় না হওয়ায় তাদের টাকা দেয়া হয়নি।

পাউবো অফিস আরও জানায় যাতে পিআইসিদের মধ্যে দ্রুত টাকা দেয়া হয় তার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার হাওর রক্ষা বাধের ২৫ নং পিআইসির সভাপতি নুরুজ্জামান বলেন, আমি বাধের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু প্রথম বিল না পাওয়ায় সমস্যার মধ্যে আছি। হাওর রক্ষা বাধের ৪৯ নং পিআইসির সভাপতি ইছমত আরা মেম্বার জানান, খুব কষ্ট করে বাধের কাজ করছি। প্রথম বিল পেলে ভালো হবে।

এব্যাপারে উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফারুক আল মামুন বলেন, বাধের কাজ ভালোই চলছে আমরা ইতিমধ্যেই ১৫টি পিআইসিকে প্রথম বিল দিয়ে দিয়েছি।

বিগত বছরগুলোতে প্রত্যেক পিআইসিকে কাজের শুরুতেই ২৫ পার্সেন্ট বিল দিলেও এ বছর ২দাপে বিল ছাড় করা হলেও বিল জমা না হওয়ায় কাজে গতি আসছেনা, তবে বাকি পিআইসিদের প্রথম বিল দিতে পারলেই কাজে আরও গতি আসবে।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *