মানিকগঞ্জে নাজমাসহ ১১ ভিক্ষুক পরিবারে হাসির ঝিলিক

জাতীয়

স্বদেশবাণী ডেস্ক : শেখ রাসেলের জন্মদিনে মানিকগঞ্জে পেশাদার ভিক্ষুক নাজমা পেলেন দোকান করার জন্য মুদিমাল ও চা বিক্রির আনুষঙ্গিক, যা প্রয়োজন তার সবই।

চোখেমুখে হাসির ঝিলিক, খুব খুশি নাজমা ও তার পরিবার। পেশাদার ভিক্ষুক নাজমা বলেন, এখন থেকে আমার আর ভিক্ষা করা লাগবি না।

সদর উপজেলার ডাউটিয়া এলাকায় রোজিনা বেগমের বাড়ি। কিশোরী বয়স থেকে ভিক্ষাবৃত্তি সঙ্গে জড়িত। সরকারের পক্ষ থেকে এ সহায়তা পেয়ে জানালেন, আর ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করতে হবে না!

নাজমার মতো এমন ১১ জন ভিক্ষুকের পরিবারে শেখ রাসেলে জন্মদিনে দিনবদলের ছোঁয়া লাগল। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মানিকগঞ্জের ভিক্ষুকদের পুর্ণবাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের কার্যক্রমের আওতায় তারা এসব সামগ্রী পেয়েছেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে যাচাই-বাছাই করে সদর উপজেলার ১১ ভিক্ষুককে পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ব্যটারিচালিত অটোরিকশা ও মুদি মাল কিনে দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়ন এবং মানিকগঞ্জ জেলাকে ভিক্ষকমুক্ত করতে বহুল প্রত্যাশিত এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এবং ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কমংস্থান শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক এবং ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব জোয়ারদার মোহাম্মদ মহিউদ্দীন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, জেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাসরীন সুলতানা, সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা লাভলি খানম ও গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার সরকার প্রমুখ।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল লতিফের নির্দেশক্রমে আমরা গত কয়েক দিনে সদর উপজেলার ২৫০ ভিক্ষুকের মধ্যে বাছাই করে ১৪৮ ভিক্ষুককে তালিকাভুক্ত করেছি।

এর মধ্যে সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ১১ ভিক্ষুককে পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ৫২ হাজার টাকার সমপরিমাণ সাতজনকে মুদিমাল ও চারজনকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনে দেওয়া হয়েছে।

বাকি ১৩৭ জন ভিক্ষুকের পর্যায়ক্রমে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে যাদের পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হলো, তারা যদি আবার পূর্বের পেশায় ফেরত যায়, তা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যেসব ভিক্ষুকের পুনর্বাসন করা হচ্ছে, তারা যেন আবার ভিক্ষাবৃত্তিতে না যেতে পারেন, তা নিয়মিত তদারকি করতে একজন এনজিওকর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *