স্বদেশ বাণী ডেস্ক: সহপাঠীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে কলেজছাত্র এক পুলিশের ছেলেকে পিটিয়েছে ছাত্রীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে রাজশাহীর নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
প্রকাশ্যে ওই ছাত্রকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
অভিযুক্ত ওই ছাত্র হলেন, যোবায়ের আহমদে। তিনি রাজশাহী নগর পুলিশের পরিদর্শক আবদুল মোমেনের ছেলে।
যোবায়ের কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। তাদের গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাটে। পরিবারের সঙ্গে রাজশাহী নগরী ঝাউতলা মোড় এলাকায় বসবাস করেন। শ্লীলতাহানির শিকার ছাত্রীও একই শ্রেণিতে পড়ে। তার বাড়ি জেলার চারঘাট উপজেলায়।
ওই ছাত্রীর বান্ধবীর ভাষ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন যোবায়ের। কিন্তু তাকে সাড়া দেননি তার বান্ধবী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করা শুরু করেন যোবায়ের। কয়েকদিন আগে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানিও করেন। বিষয়টি পরে ওই ছাত্রী বান্ধবীদের জানান।
বৃহস্পতিবার বিভাগের টেস্ট পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে অভিযুক্ত যোবায়েরের ওপর চড়াও হন ছাত্রীরা। এক পর্যায়ে কয়েকজন ছাত্রী তাকে মারধর করেন। এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন একই বিভাগের এক শিক্ষার্থী। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে ভাইরাল হয়ে যায়।
ভাইরাল ওই ভিডিওটিতে এক ছাত্র পেটাতে দেখা যাচ্ছে তিন ছাত্রীকে। এক পর্যায়ে আরেক ছাত্র গিয়ে ছাত্রীদের থামান।
শ্লীলতাহানির শিকার ওই ছাত্রী জানিয়েছে, মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাবার পর যোবায়ের তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন। এরপর থেকে চরম উদ্বিগ্ন তিনি। এ নিয়ে আইনত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও ভাবছেন তিনি।
জানতে চাইলে নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এসএম জার্জিস কাদের বলেন, ছড়িয়ে পড়া ভিডিও নজরে আসার পর আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, ওই ছাত্র তার এক সহপাঠীকে উত্ত্যক্ত করেছে।
এ নিয়ে আগামী রোববার অভিভাবকসহ ওই ছাত্রী ও ছাত্রকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি অভিযুক্ত যোবায়ের হোসেন। এ নিয়ে তার পুলিশ কর্মকর্তা বাবারও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সূত্র: জাগো নিউজ।
''সহপাঠীকে উত্যক্ত করায় প্রতিবাদী অন্য সহপাঠী''ঘটনাটি আজ সকালে রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজে ঘটে। পরীক্ষার হল থেকে বের হওয়ার পর দ্বাদশ শ্রেনীর মানবিক বিভাগের এক ছাত্র তার এক সহপাঠীকে বাজে প্রস্তাব দেই। সেই প্রস্তাবে রাজি না হলে সেই ছাত্রীর শরীরে স্পর্শ করার চেষ্টা করে পরবতীতে সেই ছাত্রী নিজেকে রক্ষার জন্য তার বান্ধবীদের কাছে ছুটে যাই এবং বিষয়টি সে তার বান্ধবীদের জানায়। বান্ধবী দের মধ্যে একজন একই বিভাগের তাসনুভা তানহা(১৮) এগিয়ে আসে এবং ছেলেটিকে মারা শুরু করে। পরবর্তীতে আশেপাশের ছাত্র – ছাত্রীদের সহযোগিতার ছেলেটিকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ভিডিও টি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হলে তা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
Posted by Bayezid Ahsan Zeet on Friday, November 29, 2019
(ভিডিওটি সংগ্রহীত)
স্ব.বা/শা