স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগরীর উপকন্ঠে হরিপুর দরগাপাড়া থেকে চাপাইনবাবগঞ্জ বালিয়াঘাটা হাতা পর্যন্ত সড়কটি যেন সড়ক দূর্ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রত্যেকদিনই এই সড়কটিতে ছোট-বড় দূর্ঘটনা ঘটেই থাকে যার ফলে হতাহতের ঘটনা এখানে নিত্তনৈমেত্তিক ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে।
আজ সকাল আটটা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই রাস্তাতে মোট চারটি দূর্ঘটনা ঘটে। গোদাগাড়ি থানার এস আই আব্দুল কুদ্দুস জানান, বিআরটিসি বাস ও ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় কষাই পাড়া এলাকায়,সাব্দিপুর এলাকায় ট্রাক ও ট্রাক মুখো-মুখি, গোদাগাড়ি বাইপাস এলাকায় ছোট পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে সম্মুখ ভাগ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এইসব দূর্ঘটনায় কয়েক জন সামান্য আহত হয়। আর প্রেমতলীতে মোটর সাইকেল আরোহি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে ঘটনাস্থলেই ফারুক নামের একজন নিহত হয়। সে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাকুরীতে যোগদানের জন্য যাচ্ছিলেন। এসব ঘটনায় গোদাগাড়ী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুুতি চলছে।
এই অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সব সময় আমাদের মনের ভিতর আতঙ্ক বিরাজ করে। যে কোন ধরনের শব্দ হলেই মনে হয় এই বুঝি কোন মায়ের কোল খালি হলো, দৌড়ে বাইরে বের হই। সায়লা পারভীন নামে এক গৃহবধু জানান, আমার শাশুড়ি সবসময় আমাকে কলসি,জগে পানি ভরে রাখতে বলেন, যে কোন ধরনের শব্দ হলেই তিনি পানির পাত্র নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন। ছোট-খাটো দূর্ঘটনায় আহতদের সেবা করা,চোখে মূখে পানি দিয়ে সুস্থ করে তোলা তার যেন দায়িত্ব হয়ে দাড়িয়েছে। রাস্তার ধারে বাড়ী হওয়ায় ছেলে-মেয়ে নিয়ে সব সময় দুঃশ্চিন্তায় থাকি।
দূর্ঘটনার কারণ হিসাবে স্থানীয়রা মনে করেন একটু পর পর এলোমেলো রাস্তার বাঁক,উচুনিচু রাস্তা,গাড়ীর অতিরিক্ত গতি,অদক্ষ চালকই দায়ী। এছাড়া সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি এত বেশি পিচ্ছিল হয়ে পড়ে যার কারণে চালকরা গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।
রাজশাহী জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী শরিফুল ইসলাম বলেন, ২০১৭ সালের দিকে এই রাস্তাটি পুনরায় কার্পেটিং করার পর রাস্তার উপরিভাগ এতটাই পিচ্ছিল হয়েছে যে, সামান্য বৃষ্টি হলেই গাড়ি আর নিয়ন্ত্রণ করা যায়না যার কারণে বর্ষা মৌসূমে এই রাস্তায় দূর্ঘটনা বেশি হয়। তাই দূর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের দ্রæত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
স্ব.বা/বা