তানোর প্রতিনিধিঃ আসন্ন ৩০ জানুয়ারী তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভার নির্বাচনে হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে। এতে করে তথ্য গোপনের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমানের প্রার্থীতা বাতিল করা হতে পারে বলে একটি নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ৩০ জানুয়ারী মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমান নির্বাচনী হলফনামায় তার সম্পদের হিসাব সঠিক ভাবে না দিয়ে তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাচনী হলফনামা নির্বাচন অফিসে জমা দিয়েছেন।
এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমান হলফনামায় তার স্ত্রী সন্তান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কথা গোপন করে নির্বাচন অফিসে দিয়েছেন মিথ্যা তথ্য। এছাড়াও মেয়র গোলাম রাব্বানী সাইদুর রহমানের সাথে আঁতাত করে মুন্ডুমালা পৌরসভার প্রায় আড়াই কোটি টাকার রাস্তার কাজ না করে পৌরসভার ফান্ড থেকে সব টাকা উত্তলন করে নিয়েছেন বলেও অভিযোগে উঠে এসেছে। জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমান তার নির্বাচনী হলফনামায় বলেছেন,তার কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নাই। তার স্ত্রীর ১০ভরি স্বর্ণ অলংকার রয়েছে। ছেলে মেয়ের নামে কোন সম্পদ নাই। তার মাসিক আয় মাত্র ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। যা পুরোটাই মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রদান করেছে নির্বাচন অফিসে।
জনসাধারণের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, যদি সাইদুর রহমানের তেমন আর্থিক অবস্থা ভালো না হয় তাহলে সে কি ভাবে দিনরাত জিপ গাড়িতে চড়ে চলাফেরা করে। থাকেন কেন ৫ তলা ফাউন্ডেশনের বাড়িতে। কি প্রয়োজন দুইটি মোটর সাইকেল। স্ত্রীর সম্পদ না থাকলে তার স্ত্রী কি ভাবে রাজশাহী জেলার সর্বচ্চ আয়কর দাতা হন তা নিয়ে বইছে জনগণের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার গুঞ্জন।
অন্যদিকে মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র গোলাম রাব্বানী তার অনুগত সাইদুর রহমানকে দিয়ে বিগত ১০ বছর ধরে পৌরসভার যত টেন্ডারের কাজ সবগুলোই সাইদুরকে দিয়ে করিয়েছেন। ফলে,একজন দিনমজুর কুলি থেকে কোটি পতি বুনে যান সাইদুর রহমান। বর্তমানে কুলি থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন সাইদুর রহমান।
অথচ সাইদুর রহমান একজন অঢেল সম্পদের মালিক হয়ে নির্বাচনী হলফনামায় এতোকিছু মিথ্যা তথ্য জমা দিয়ে সে কি ভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন। না অবৈধ সুবিধা নিয়ে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাইদুর রহমানকে নির্বাচন করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে তা জানতে চান সচেতন মহল সহ মুন্ডুমালা পৌরসভার জনসাধারণ গন। মুন্ডুমালা পৌরসভার রাস্তার উন্নয়নে আশা প্রকল্পের বিষয়ে পৌরসভার সচিবের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, কাজ করার জন্য ইট বালু খোয়া ফেলা হয়েছে। কিন্তু কাজ করার আগেই মেয়র ও ঠিকাদার মিলে ফান্ডে থেকে সব টাকা উত্তলন করে নেওয়ায় এখন রাস্তার কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। কাজ শেষ করার আগে পুরো বিল উত্তলন করা যায় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন,পৌরসভার মালিক মেয়র সাহেব তিনি যা করবেন তাই হবে। এখানে আমার কোন দাম নেই। যখন খুশি ইচ্ছে মত ফান্ডের টাকা উত্তলন করেন মেয়র সাহেব বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব বিষয়ে লেখা লেখি না করে আমার ভালো নিউজ করুন, আমি আপনাদের সবরকম সুযোগ সুবিধা করে দিব বলে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করাই তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।