স্টাফ রিপোর্টার: মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি তাপস কুমারের নানা অপরাধমুলক কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন গ্রামবাসী। এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে মোহনপুর নির্বাহী অফিসাসহ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শতাধিক ভুক্তভুগী।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোল্লাডাঙ্গি গ্রামের মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন অত্যন্ত আন্তরিক ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কে আবদ্ধ। তারা সকল উৎসব পালন করতেন ভাতৃত্বের মাধ্যমে। দীর্ঘদিন ধরে মোল্লাডাঙ্গি গ্রামের মৃত গণেশের চন্দ্রের ছেলে যুবলীগ নেতা তাপস কুমার গ্রামের হিন্দু ও ইসলাম ধর্ম সম্প্রদায়ের নীরহ মানুষদের মধ্যে ফ্যাসাদ লাগানোর চেষ্টা চালান। তিনি অনৈতিক কুপ্রস্তাব দিয়ে অনেক সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার অত্যাচরেই অতিষ্ট হয়ে ইতোপূর্বে একটি পরিবার গ্রামছাড়া হওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে গ্রামের ছোটখাট ঝামেলা হলেই জনসাধারণকে হয়রানীর ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়সহ বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা এবং অনুদানের কার্ড পাইয়ে দেয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকের দাবী তাপসের সঙ্গে এধরণের অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ ও দ্বন্দের কারণে এবার পুঁজার প্রতিমা তৈরি হয়নি। ওই গ্রামের পরবী নামের একজন হিন্দু নারীর দাবী, তাপসের সাথে দ্বন্ধের কারণেই এবারে আমাদের পুঁজার প্রতিমা তৈরি হয়নি।
তাপসের চাচা, নরেশ চন্দ্র সাহা বলেন, তাপসের বিরুদ্ধে মেয়েদেরকে কূপ্রস্তাব দেয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে সে বয়স্ক ভাতা, বিধবাতাসহ বিভিন্ন ধরণের ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে টাকা নেয় এটা ঠিক।
এ বিষয়ে তাপস কুমার বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি জানিনা। যদি এধরণের অভিযোগ করে থাকে তাহলে আমাকে হেনস্থা করার জন্য এমন ধরণের অভিযোগ হয়ে থাকতে পারে।
মোহনপুর উপজেলা হিন্দু বোদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুরঞ্জিত সরকার বলেন, তাপসের অত্যাচার, কুনজর এবং কূপ্রস্তাবের অভিযোগগুলো অনেকেই আগে থেকেই আমাকে অবগত করা হয়েছিল। প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে গ্রামবাসী অভিযোগ করেছেন এমনটি শুনেছি।
এসকল বিষয় নিয়ে গ্রামে বিশৃঙ্খলার আশংঙ্কায় এবারে সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুঁজার প্রতিমা তৈরি হয়নি। এটা অতন্ত দুঃখজনক ঘটনা। তবে অপরাধীর সুষ্ঠ বিচার হওয়া দরকার না হলে নারীদের সম্মান রক্ষা পাবেনা।
জানতে চাইলে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানওয়ার হোসেন বলেন অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্ব:বা/না