মান্দায় পুকুর খনন: প্রতিহিংসার শিকার কয়েকটি পরিবার

রাজশাহী

নওগাঁর প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দা উপজেলা তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ফয়জুল ইসলাম ও মামুন অভিযোগ করে বলেন, ৩০ বছর ধরে আমাদের জমির উপর পকুর করে খাচ্ছে পার্শ্ববর্তী জমির মালিকেরা। কিন্তু আজ তারা আমার জমি ভরাট না দিয়েই পুকুরের পাহাড়ি নির্মাণ করে ফেলছে। তাহলে আমাদের জমি আগে গর্ত না থাকলেও এখন কেন গর্ত থাকবে। আমরা কি পুকুরে মাচ চাষ করেছি? তারা (পুকুর মালিকরা) পুকুর চাষ করেছে। তারা টেন্ডার দিয়ে খেয়েছে। একটা মাছ কোনদিন আমাদের দেয়নি। আমাদের জমি তাদের পুকুরে নেমে গেছে।

ভুক্তভোগীর কথা মতে, পুকুর মালিক বিগতদিনে মাচ চাষ করাই আমাদের জমির অধিকাংশ পানিতে নেমে গেছে। বর্তমানে তাদের পাহাড়ি সিমানা নির্ধারণ করে তারা পাহাড়ি দিয়েছে৷ ফলে ফয়জুল ইসলাম ও মামুনসহ আরো একাধিক জনের জমি নালা হয়ে গেছে। তারা না পারছে সইতে না পারছে মাটি কিনে ভরাট করতে। একারণে সাংবাদিকদের শরণাপন্ন হন।

ঘটনাটি মান্দা উপজেলা তেঁতুলিয়া সাবাই বাজার পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসা সংলগ্ন স্থানে। সরেজমিনে জানা গেছে, তেঁতুলিয়া গ্রামের বিলেত ফেরত এনামুল ও একরামুল নামের দু-ভাই পুকুরটি খনন করছেন। তারা নিজেদের জমি মেপে পুকুরের পাহাড়ি করেছেন। আগে পুকুরের সিমানা ছিলো অন্যের জমিতে। সেখানে এখন গভির নালা সৃষ্টি হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীদের মাঝে ভিতি সৃষ্টি মনে হয়েছে। কেননা ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের সামনে যা বলেছেন। স্থানীয় তেঁতুলিয়া ইউপির সভাপতি ও গত নির্বাচনে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজীবুর রহমান গাজীর উপস্থিতিতে অনেকটা ভিতি নিয়ে কথা বলেন। তবে তিনি এর সঠিক সুরাহা কামনা করেছেন।

এলাকাবাসিরা বলছেন, বিদেশ থেকে মোটা টাকার অর্থ এনে পুকুর খনন ও মাটি দিয়ে রাস্তা নষ্ট করছেন। এদের অর্থের বিনিময়ে সার্বিক করে ভুক্তভোগীদের হুমকি দিতে সহোযোগিতা করছেন রাজনৈতিক নেতারা। তারা সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে নিজের মতো করে পুকুর খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

পুকুর খননকারী একরামুল বলেন, আমরা পারিবারিক পুকুর খনন করছি, পুকুরটি ৯ বিঘা থাকলেও আমাদের জমি ৭ বিঘা হওয়ায় আমাদের অংশ খনন করছি। বাকিরা টাকা না দেওয়াও তাদের জায়গা নালার মতো পড়ে আছে, আমাদের টাকা দিলে তাদের জায়গা ভরাট করে দিতে পারি। এমনি অনেক টাকা জরিমানা দিয়েছি আমার টাকা দিয়ে কারো উপকার করতে পারবোনা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ১০ মে অনিয়মের কারনে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মান্দা উপজেলা প্রশাসন এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তার আগেও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

 

স্ব:বা/না

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *