ড্রোন ক্যামেরায় ছবি তুলে কলকাতায় ধরা খেয়েছে রাজশাহীর বাঘার দুইজন

রাজশাহী

বাঘা প্রতিনিধিঃ কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম লাগোয়া সংরক্ষিত ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ফোর্ট এলাকায় ড্রোন ক্যামেরা উডিয়ে ছবি তুলে ধরা খেয়েছে রাজশাহীর বাঘার দুইজন। সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজা। জানা গেছে,প্রবাস জীবন থেকে স্বপরিবারে বাংলাদেশের রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দক্ষিন মিলিকবাঘা গ্রামে এসেছেন সিফাত আলী (২২)’র পরিবার। এই গ্রাম থেকে চাচা জিল্লুর রহমান(৩৫)কে সাথে নিয়ে ভারতের কলকাতায় যান বিবিএর ছাত্র সিফাত আলী। সেই দেশের সংরক্ষিত এলাকায় ড্রোন ক্যামেরা উডিয়ে ছবি তোলার অভিযোগে তাদের দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেখানকার সেন্টাল পুলিশ ।
গত বুধবার (১০আগষ্ট) তাদের গ্রেপ্তারের পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামী ২৩ আগস্ট পর্যন্ত তাদের পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাদের আসল উদ্দেশ্য কি, তা খতিয়ে দেখার স্বার্থে ভিডিওগুলো ফ্রেম টু ফ্রেম পরীক্ষার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করলে এই নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গ্রেপ্তারকৃত সিফাত আলী কোরিয়া প্রবাসী আব্দুল লতিফের ছেলে, চাচা মো. জিল্লুর রহমান রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দক্ষিন মিলিক বাঘা গ্রামের আব্দুর রউফ এর ছেলে। ২০১৩ সালে স্বপরিবারে দক্ষিন কোরিয়ায় চলে যান আব্দুল লতিফ। গ্রীণ কার্ডে তারা এখন দক্ষিন কোরিয়ার বাসিন্দা। তার ছেলে সিফাত আলী সেই দেশটির ইনসোন ইউনির্ভাসিটি বিবিএ (ট্রেড এ্যান্ড কমার্স) ছাত্র। মহামারি করেনার আগে বাংলাদেশের রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দক্ষিন মিলিকবাঘা গ্রামের বাড়িতে আসেন আব্দুল লতিফ। গত ২মাস আগে তিনি স্ত্রী ও ছেলেকে রেখে কোরিয়ায় চলে গেছেন আব্দুল লতিফ।

শনিবার(১৩ আগষ্ট) সরেজমিন আব্দুল লতিফের দক্ষিন মিলিকবাঘা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে যোগাযোগ করলে তার স্ত্রী (গ্রেপ্তারকৃত সিফাতের মা) সেলিনা খাতুন (শাপলা) বিষয়গুলো নিশ্চিত করে জানান, গত ৯ আগষ্ট বৈধ ভিসায় কলকাতায় গিয়েছে সিফাত ও তার চাচা জিল্লুর রহমান। আমার জন্য ঔষধ ক্রয় ও বেড়ানো উদ্দেশ্য যায় তারা। সেখানে গিয়ে শখের বসে ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে ছবি তুলছিল। কিন্ত সেই এলাকাটি সংরক্ষিত বলে তাদের জানা ছিলনা। তার দাবি, বৈধ ভিসায় বিভিন্ন দেশে গিয়ে শখের বসে ছবি তুলে আমাদের বাঘা পেইজে দেয়। তবে কোনদিন বাঁধার সম্মুখিন হয়নি। চলতি মাসের ২৯ আগষ্ট দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট কাটা হয়েছে। কিন্তু এর আগেই অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে গেল। কলকাতার পুলিশের মাধ্যমে পরে বিষয়টি জানতে পেরেছেন বলে জানান,সেলিনা খাতুন (শাপলা)।

তিনি জানান, বাংলাদেশের পরারাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য যোগাযোগ করছি। এছাড়াও আইনিভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিফাতের অপর এক চাচাকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। ২০২১ সালে দক্ষিন কোরিয়া থেকে বাংলাদেশের রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দক্ষিন মিলিক বাঘা গ্রামের বাড়িতে এসছেন। করোনাকালিন সময় থেকে তারা বাংলাদেশে আছেন। তবে স্বামী আব্দুল লতিফ ২ মাস আগে কোরিয়া চলে গেছে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *