মিঠুনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সিলেটের বড় সংগ্রহ

খেলাধুলা লীড

ক্রীড়া ডেস্ক: মারমুখী ব্যাটিংয়ের শুরুটা করেছিলেন ক্যারিবীয় ওপেনার জনসন চার্লস। চট্টগ্রাম অধিনায়ক রায়াদ এমরিটের ওভারে টানা ৪টি চার মেরে পাওয়ার প্লে’র যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করেন তিনি। কিন্তু তাকে ইনিংসটা বড় করতে দেননি চট্টগ্রামের সিলেটি স্পিনার নাসুম আহমেদ।

ঠিক সে কারণেই হয়তো নাসুমের ওপর বাড়তি রাগ ঝাড়েন সিলেটের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন। প্রথম ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান খরচ করা নাসুমকে তার ব্যক্তিগত শেষ ওভারে ৩টি ছক্কা হাঁকান মিঠুন। সবমিলিয়ে সে ওভারে আসে ২৪ রান।

আর মিঠুনের এই ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদেই আসরের প্রথম ম্যাচে বড়সড় সংগ্রহ পেয়েছে সিলেট থান্ডার্স। জনসন চার্লসের শুরুর ব্যাটিংয়ের পর মোহাম্মদ মিঠুনের ঝড়ো ফিফটিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করতে পেরেছে সিলেট। জয়ের জন্য চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে করতে হবে ১৬৩ রান।

দলের কোচ হার্শেল গিবস আগেরদিনই (মঙ্গলবার) বলেছিলেন, বড় তারকা না থাকাই তার দলের প্রধান শক্তি। কারণ এতে দলের অন্যান্য খেলোয়াড়রা স্বাধীনভাবে খেলতে পারে। ঠিক এই জিনিসটিই যেনো দেখা গেলো সিলেটের প্রথম ম্যাচে। তিন নম্বরে নেমে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন মিঠুন। দারুণ টাইমিংয়ের প্রদর্শনী করে মাত্র ৪৮ বলে খেলেছেন ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। যেখানে ছিলো ৪টি চারের সঙ্গে ৫টি ছয়ের মার।

তবে চট্টগ্রাম অধিনায়ক এমরিটের আমন্ত্রণে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ঠিক মনঃপুত করতে পারেনি সিলেট। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রুবেল হোসেনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার রনি তালুকদার। দলের রান তখন মাত্র ৫। রনিও করেন ঠিক এই ৫ রান।

শুরুতেই উইকেট হারালেও সহজাত ব্যাটিং করতে পিছপা হননি আরেক ওপেনার চার্লস। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক এমরিটকে টানা ৪টি চার মেরে শুরু করেন, থামেন নাসুম আহমেদের করা সপ্তম ওভারের শেষ বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে। এর মাঝে ২৩ বলে ৭টি চারের মারে ৩৫ রান করেন চার্লস।

বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি লঙ্কান অলরাউন্ডার জীবন মেন্ডিস। ইনিংসের নবম ওভারে দলীয় ৬১ রানের মাথায় মাত্র ৪ রান করে ফেরেন তিনি। যার ফলে নবম ওভারের পঞ্চম বল থেকে একসঙ্গে জুটি বাধেন সিলেট অধিনায়ক মোসাদ্দেক ও তিন নম্বরে নামা মিঠুন। যা থামে ইনিংসের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে।

মোসাদ্দেককে সঙ্গে পেয়েই যেনো আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সাহস পেয়ে যান মিঠুন। দশম ওভারের পঞ্চম বলে মুকতার আলির ডেলিভারিকে উড়িয়ে পাঠান বাউন্ডারির ওপারে। যা কি না টুর্নামেন্টের প্রথম ছক্কা।

এক ওভার পর নাসুমের শেষ ওভারে আরও তেতে ওঠেন তিনি। সে ওভারের ছয় বলে ৩টি ছক্কার সঙ্গে নেন ৩টি ডাবলস। যার ফলে ২২ বলে ২২ থেকে এক লাফে পৌঁছে যান ২৮ বলে ৪৬ রানে। এ ওভারে মিঠুনের একটি কঠিন ক্যাচ ছেড়ে দেন জুনায়েদ সিদ্দিকী।

পরের ওভারেই নাসির হোসেনকে এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ৩০ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি তুলে নেন মিঠুন। ব্যক্তিগত অর্ধশতক করা পর্যন্ত একটিও চার মারেননি তিনি। তবে পঞ্চাশ পেরিয়ে যাওয়ার পরে তার ব্যাট থেকে আসে ৪টি চারের মার।

এদিকে মিঠুন যখন মারমুখী ব্যাটিং করছিলেন, তখন বেশ রয়েসয়েই যেন খেলছিলেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ১টি করে চার ও ছয়ের মারে ৩৫ বলে ২৯ রান করেন তিনি। শেষপর্যন্ত অপরাজিতই থেকে যান মিঠুন। ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ইনিংসে মাত্র ৪৮ বলে ৪ চার ও ৫ ছয়ের মারে ৮৪ রান করেন তিনি।

চট্টগ্রামের পক্ষে বল হাতে ২৭ রান খরচায় ২ উইকেট নেন রুবেল হোসেন। এছাড়া নাসুম আহমেদ ও রায়াদ এমরিটের ঝুলিতে যায় ১টি করে উইকেট। সূত্র: জাগো নিউজ।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *