স্পোর্টস ডেস্ক: বার বার পিছিয়ে পড়ার গ্লানি ও ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে এবার প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ। ডাকওয়ার্থ লুইসে ৩ উইকেটে জিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়লো তারা।
তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেনের উদ্বোধনী জুটিতে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। দিক্ষণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা স্বপ্ন যখন ধুসর হতে শুরু করেছে ঠিক তখন ত্রাতা হয়ে আসেন আকবর।
অধিনায়কদের এমনই হতে হয়। যিনি সব চাপ কাঁধে তুলে নেবেন। কিন্তু ভেঙে পড়বেন না। সামনে থেকে লড়াই করে দলকে সাহস যোগাবেন।
বিশ্বকাপ ফাইনালে পরাক্রমশালী ভারতের বিপক্ষে এর সবগুলো গুণই ফুটে উঠে আকবরের মধ্যে। ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো দেশকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শিরোপা এনে দিলো তার দল। দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে চারবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারালো ৩ উইকেটে।
ফাইনালে ভারতের দেয়া ১৭৮ রানের টার্গেটে ৪১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ১৬৩ রান। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকায় বাংলাদেশের লক্ষ্য নেমে আসে ১৭০ রানে। সেই লক্ষ্য সহজেই ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
এর আগে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। বোলিংয়ে নেমে শুরু থেকে ভারতকে চাপে ফেলে টাইগার যুবারা। অভিষেকের মাধ্যমে প্রথম সাফল্য পায় আকবর আলিরা। ৯ রানের মাথায় দিব্যাংশ সাক্সেনার উইকেট তুলে নেন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে নিজেদের সামলে নেয় ভারতীয় যুব দল। জয়সওয়াল ও তিলক ভার্মা ৯৪ রানের জুটি গড়েন বেশ আস্থার সঙ্গে। ৩৮ রানে তিলককে ফেরান পেসার তানজিম হাসান সাকিব। ১১৪ রানের মাথায় ছন্দে থাকা স্পিনার রকিবুল ফেরান অধিনায়ক প্রিয়াম গার্গকে।
ধাক্কা সামলে ভারতের হয়ে লড়াই করেন যশস্বী জয়সওয়াল। সেমিফাইনালের মতো ফাইনালেও সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু শরিফুলের শর্ট পিচ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন ৮৮ রানে। মিড উইকেটের সহজ ক্যাচ লুফে নেন তানজিদ হাসান তামিম। এরপরই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ। পরের বলে সিদ্ধেশ বীরকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল।
মাত্র ২১ রানের ব্যবধানে পরপর ৭ উইকেট পড়ে ভারতীয় যুবাদের। শরিফুলের পর বিশ্বকাপে গতির ঝড় তোলেন অভিষেক দাস। ৪৫তম ওভারে অথর্ব আনকোলেকর ও কার্তিক তিয়াগির উইকেট তুলে নেন তিনি।
মজার ব্যাপার হলো এবারের আসরে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন অভিষেক। এর মাঝে রানআউটের শিকার ধ্রুব জুড়েল ও রবি বিষ্ণই। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সুশান্ত আউট হন সাকিবের বলে। এতে ৪৭.২ ওভারে মাত্র ১৭৭ রানে অলআউট হয় ভারত। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।
স্ব.বা/শা