স্পোর্টস ডেস্ক: লিওনেল মেসি চুক্তির শর্ত থেকে সুবিধা খুঁজে ফ্রি-এজেন্ট হিসেবে বার্সেলোনা ছাড়ার উপায় খুঁজছেন। তার দাবি, যেহেতু করোনাভাইরাসের কারণে এবারের মৌসুম প্রায় আগস্টের শেষ পর্যন্ত লম্বা হয়েছে, তাই তিনিও জুন মাস নয়, ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় পাবেন আগস্ট পর্যন্ত।
বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ অবশ্য স্থির নিশ্চিত যে মেসির বিনা ফি-তে বেরিয়ে যাওয়ার সময়সীমা জুন মাসেই শেষ হয়ে গেছে। ক্লাবকে কোনওরকম সুযোগ না দিতে আগামী সোমবার বার্সেলোনার প্রাক-মৌসুম অনুশীলনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেসি। কিন্তু দৈনিক মার্কার ধারণা, হিতে বিপরীতই হবে এতে, বার্সা থেকে তার বিদায় যেতে পারে আটকে।
বার্সেলোনার বোর্ড মনে করে মেসির কোথাও যাওয়া হবে না। কিন্তু মেসি-শিবিরের বিশ্বাস আবার উল্টো। এ নিয়ে অনেক সংশয়-সন্দেহ জাগছে, যেহেতু বিশেষজ্ঞরা একেক রকম মত দিচ্ছেন। কেউ কেউ বলছেন অনুশীলনে ফেরা মানেই চুক্তিটি যেমন ছিল তেমনই থাকবে। আবার অনুশীলনে ফিরলে চুক্তির যে শর্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে সেটা অকার্যকর হয়ে যায়, এমনও বলছেন অনেকে।
মতামত পরস্পরবিরোধী মনে হলেও সত্যটা হলো, ‘সবকিছুই নির্ভর করছে সোশ্যাল জাজের ওপর এবং যেখানে শুধু কর্মীর থাকে পাওয়ার।’ এসব সত্ত্বেও অন্য বিশেষজ্ঞরা একেবারেই উল্টো মত পোষণ করেন। তাদের কথা হলো, যে মুহূর্তে মেসি অনুশীলনে নামবেন তখন থেকেই ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্কটা আবার শুরু হলো যা ২০২১ সালের ৩০ জুনের আগে শেষ হবে না।
এই মুহূর্তে ফিফা দূর থেকে শান্তভাবে বার্সেলোনা ও মেসির ব্যাপারটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতিতে কোনও দল যদি দলবদলের আবেদন জানায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় কোনও অনুরোধ করতে পারে না। কাজ করার অধিকার বহাল থাকে এবং প্রক্রিয়া অনুযায়ীই সব হয়। কিন্তু ফিফা আশ্বস্ত যে একটি চুক্তি অথবা বিচারকের সিদ্ধান্ত এখানে লাগবেই।
দলবদলে উয়েফার কিছু করার নেই। তবে ক্লাবের লাইসেন্সিং ও খেলোয়ড়দের নিবন্ধনে তাদের ভূমিকা আছে। করোনাভাইরাসে কারণে এই মৌসুমটা একেবারেই অন্যরকম।
আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়েদের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল দিয়ে শেষ হবে মৌসুম। তবে ক্লাবগুলোকে বলে দেওয়া হয়েছে আর্থিক সমতার নীতি প্রযোজ্য হবে ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ মৌসুম মিলিয়ে, আলাদা দুই মৌসুমের জন্য নয়। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন।
স্ব.বা/শা