সাকিবের সেঞ্চুরিতেও হার টাইগারদের

আন্তর্জাতিক খেলাধুলা লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: সাকিব আল হাসানের সেঞ্চুরির পরও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৮৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১০৬ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে সাকিবের সেঞ্চুরির পরও ৪৮.৫ ওভারে ২৮০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১২১ রান করেন সাকিব। এছাড়া ৪৪ রান করেন মুশফিকুর রহিম, ২৮ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ২৬ রান করেন মোসদ্দেক হোসেন সৈকত। ইংল্যান্ডের হয়ে জোফরা আর্চার ও বেন স্টোকস তিনটি করে উইকেট শিকার করেন।

বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপে ৩৮৬ রানের রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ইংলিশদের এটা দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান করেছিল ইংলিশরা।

শনিবার কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনসে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে ইংল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে ১৯.১ ওভারে ১২৮ রান করেন দুই ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। এরপর মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হন বেয়ারস্টো। তার আগে ৫০ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করেন তিনি।

এরপর তিনে ব্যাটিংয়ে নামা জো রুটের সঙ্গে জুটি বেঁধে ফের ৭৭ রান যোগ করেন জেসন রয়। এই জুটিতে সেঞ্চুরি করেন রয়। মোস্তাফিজুর রহমানকে বাউন্ডারি হাঁকানোর মধ্য দিয়ে ৯২তম বলে শতরানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন রয়।

আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন জো রুট। ইংল্যান্ডের এ তারকা ব্যাটসম্যানকে বড় ইনিংস গড়ার সুযোগ দেননি সাইফউদ্দিন। তার গতির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে ২১ রান করার সুযোগ পান রুট।

সেঞ্চুরির পর আগের চেয়েও বেশি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন জেসন রয়। ৩৫তম ওভারে মিরাজের প্রথম তিন বলে তিনটি ছক্কা হাঁকান এ ইংলিশ ওপেনার। চতুর্থ বলেও বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে মাশরাফির হাতে ক্যাচ তুলে দেন।

মিরাজের অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হওয়ার আগে ১২১ বলে ১৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১৫৩ রান করেন জেসন রয়। বিশ্বকাপে এটা তার প্রথম সেঞ্চুরি। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৭৯তম ম্যাচে এটা নবম শতক।

চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান জস বাটলার। আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা ইংলিশ এই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান এদিন ৩৩ বলে ফিফটি গড়েন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হওয়ার আগে ৪৪ বলে চারটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৬৪ রান করে ফেরেন তিনি।

ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মরগান। তাকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। তার অফস্পিনে সৌম্য সরকারের তালুবন্দি হওয়ার আগে ৩৩ বলে এক চার ও দুই ছক্কায় ৩৫ রান করেন মরগান।

শেষ দিকে ক্রিস ওকস এবং লিয়াম প্লাঙ্কেট রীতিমতো তাণ্ডব চালান। তাদের অবিচ্ছিন্ন ১৭ বলের ৪৫ রানের জুটিতে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান করে ইংল্যান্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩৮৬/৬ (জেসন রয় ১৫৩, বাটলার ৬৪, জনি বেয়ারস্টো ৫১, মরগান ৩৫, প্লাঙ্কেট ২৭* জো রুট ২১, ক্রিস ওকস ১৮*, বেন স্টোকস ৬; মিরাজ ২/৬৭, সাইফউদ্দিন ২/৭৮, মাশরাফি ১/৬৮, মোস্তাফিজ ১/৭৫)।

বাংলাদেশ: ৪৮.৫ ওভারে ২৮০/১০ (সাকিব ১২১, মুশফিক ৪৪, মাহমুদউল্লাহ ২৮, মোসাদ্দেক ২৬; জোফরা ৩/২৯, বেন স্টোকস ৩/২৩, মার্ক উড ২/৫২)।

ফল: ইংল্যান্ড ১০৬ রানে জয়ী।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *