স্বদেশবাণী ডেস্ক: করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবাখাতে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় চলতি মূলধন ঋণ গ্রহণকারী গ্রাহকের হিসাবের বিপরীতে কোনোক্রমেই সাড়ে ৪ শতাংশের বেশি সুদ আরোপ করা যাবে না।
এ প্যাকেজের বিপরীতে মোট সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। এর মধ্যে গ্রাহকের হিসাবে আরোপ করতে হবে সাড়ে ৪ শতাংশ। বাকি সাড়ে ৪ শতাংশ অন্য একটি হিসাবে রাখতে হবে। যা সরকার থেকে ভর্তুকি হিসাবে পরিশোধ করা হবে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, কোনো গ্রাহক এই প্রণোদনার আওতায় চলতি মূলধন ঋণ নিয়ে যথাসময়ে সুদ পরিশোধ না করলে ব্যাংক এর বিপরীতে সমুদয় সুদ অর্থাৎ ৯ শতাংশ গ্রাহকের হিসাবে আরোপ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে এই সুদ গ্রাহকের দায় হিসাবে গণ্য হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের কোনো দায় থাকবে না।
অর্থাৎ, প্রণোদনার আওতায় যেসব গ্রাহক নিয়মিত সুদ পরিশোধ করবেন, তারাই শুধু কম সুদে চলতি মূলধন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। নিয়মিত ঋণ সুদ পরিশোধ না করলে এ সুবিধা পাওয়া যাবে না।
এতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, কতিপয় ব্যাংক আলোচ্য প্যাকেজের আওতায় চলতি মূলধন ঋণের বিপরীতে সমুদয় সুদ অর্থাৎ ৯ শতাংশ হারে গ্রাহকের হিসাবে আরোপ করছে। এতে গ্রাহক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একইসঙ্গে মাঠ পর্যায়ে বিভ্রান্তি দেখা দিচ্ছে। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আলোচ্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, এ নির্দেশনার ফলে যেসব ব্যাংক ইতোমধ্যে বিধি ভঙ্গ করে গ্রাহকের হিসাবে সাড়ে ৪ শতাংশের বেশি সুদ আরোপ করেছে তাদেরকে তা সংশোধন করতে হবে।
অর্থাৎ, গ্রাহকের হিসাবে সাড়ে ৪ শতাংশ সুদ আরোপ করে বাকি সাড়ে ৪ শতাংশ অন্য একটি হিসাবে জমা রাখতে হবে। এসব সুদের হিসাব পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে।
এর আগে গত বছরের ১২ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শিল্প ও সেবাখাতে চলতি মূলধন ঋণের জোগান দেওয়ার জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা তহবিল গঠন করা হয়। এ তহবিলের মধ্যে ১৫ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এবং বাকি ১৫ কোটি টাকা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো দেবে। ঋণের সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। এর মধ্যে গ্রাহক দেবে সাড়ে ৪ শতাংশ এবং সরকার থেকে ভর্তুকি হিসাবে দেওয়া হবে সাড়ে ৪ শতাংশ।