ফের বেড়েছে চাল-আলু-পেঁয়াজের দাম

অর্থনীতি

স্বদেশবাণী ডেস্ক: সবজির বাজার নাগালে থাকলেও কোন কারণ ছাড়াই আবারও বেড়েছে চাল-আলু-পেঁয়াজের দাম। পাশাপাশি আগের চেয়েও বাড়তি ডিমের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে।

রাজধানীর কাওরান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখাযায়, প্রতি কেজি মিনিকেট ও নাজিরশাল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২-৬৮ টাকা, যা সাত দিন আগে ছিল ৫৭-৬২ টাকা। বিআর-২৮ চাল বিক্রি হয়েছে ৫৫-৫৬ টাকা। যা ১ সপ্তাহ আগে ছিল ৫০-৫২ টাকা। মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০-৫২ টাকা। যা ৭ দিন আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা।

অন্যদিকে বাজারে এসেছে নতুন পেঁয়াজ। তারপরও সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ নেয়া হচ্ছে  ৬৫ টাকা, অথচ এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৬০ টাকার মধ্যে। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা, ১ সপ্তাহ যা ছিল ৩৫ টাকা।

পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলছেন, ‘পেঁয়াজের বাজার কমার দিকে। তবে ২ দিনের ব্যবধানে রাজধানীতে পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। যার কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে সরবরাহ বাড়তে থাকায় শিগগিরেই কমবে।’

এছাড়া গত কয়েক দিন ধরে আলুর বাজার নাগালে থাকলেও আবারও তা ঊর্ধ্বমুখী। সরবরাহ সংকটের অজুহাত দাম বাড়াচ্ছেন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৬ টাকা। এক সপ্তাহ আগে যা বিক্রি হয়েছে ৩৫-৪০ টাকায়। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতি হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৪ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩০-৩২ টাকা। অন্যদিকে গত কয়েক মাস থেকেই ধাপে ধাপে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। নতুন করে সপ্তাহ ব্যবধানে নিত্যপণ্যটির দাম আবারও বাড়ানো হয়েছে।

রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল কোম্পানিভেদে বিক্রি হয়েছে ১১৫-১২৫ টাকা। যা ৭ দিন আগে ছিল ১১০-১১৫ টাকা। এছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৫৬০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল  ৫৪০ টাকা।

এদিকে, নিত্যপণ্যগুলোর দাম বাড়ার চিত্র সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক পণ্য মূল্য তালিকায়ও লক্ষ্য করা গেছে।

এদিকে শীতের সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মুলা, শালগমের সরবরাহ বাড়ায় চার সপ্তাহ ধরে রাজধানীর বাজারগুলোতে তুলনামূলক কম দামে সবজি পাওয়া যাচ্ছে। বেশিরভাগ সবজির কেজি এখন ৩০ টাকা মধ্যে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের মতো শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ টাকা। মুলা ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি পাওয়া যাচ্ছে। ৩৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বড় লাউ। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি।

এছাড়া বেগুনের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, উস্তের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

বেশিরভাগ সবজির দাম কমলেও এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পাকা টমেটো ও বরবটি। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আর বরবটি গত সপ্তাহের মতো ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *