স্বদেশ বাণী ডেস্ক: দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার পারাপারের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট। তীব্র স্রোতের কারণে গত কয়েকদিনে ঘাটে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। স্বল্প পরিসরে ফেরি চলাচল করলেও ঘাটে আটকা পড়েছে ৬ শতাধিক গাড়ি।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে ১৭টি ফেরির মধ্যে স্বল্প পরিসরে ৬টি ফেরি চলাচল করছে।
এদিকে, ফেরি চলাচলে স্বাভাবিক সময়ের চাইতে কয়েকগুণ বেশি সময় লাগায় কমে গেছে ফেরির ট্রিপ সংখ্যা। সেকারণে দুই পাড়েই দীর্ঘ হচ্ছে যানবাহনের সারি। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চালক ও সাধারণ যাত্রীদের।
খুলনাগামী যাত্রী মিশকাত হোসেন বলেন, সোমবার রাত ১টার সময় তিনি ঘাটে এসে বিকেলে ৩টায় কোনো ফেরি পাননি। ঘাটে নারী ও শিশুদের মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ট্রাকচালক আনিস বলেন, চার দিন ধরে তিনি ঘাটে অবস্থান করছেন। কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় খাবারসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তার অভিযোগ, বিআইডব্লিউটিসির অসাধু কিছু কর্মকর্তা অতিরিক্ত টাকা নিয়ে সিরিয়াল ব্রেক করে ট্রাক পাড় করছেন। এতে করে সাধারন ট্রাক চালকরা আরও বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন।
এদিকে, গত কয়েকদিনে পাটুরিয়া ঘাটে আটকা পড়েছে পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। সোমবার রাতে কিছু ট্রাক ছেড়ে দিলেও মঙ্গলবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঘাটের বিভিন্নস্থানে আটকে আছে চার শতাধিক ট্রাক। এছাড়া ছোট-বড়, ব্যক্তিগত এবং যাত্রীবাহী বাস মিলে রয়েছে দুই শতাধিক যানবাহন ফেরি পারা পারের অপেক্ষায়।
বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাটের ভারপ্রাপ্ত সহ-মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেন, দৌলতদিয়া প্রান্তে দু’টি ঘাট নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আরও একটি বিলীনের পথে। বাকী তিনটি ঘাট দিয়ে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করছে। প্রচণ্ড স্রোতের কারণে ফেরিগুলো চলাচল করতে পারছে না। তবে সীমিত পরিসরে বেশ কয়েকটি ফেরি চলাচল করছে।
এছাড়া পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যানবাহনগুলিকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন এ কর্মকর্তা। সূত্র: পূর্বপশ্চিম।
স্ব.বা/শা