রাজশাহীর আ.লীগ নেতা দুভাই বেন্টু-বাবু ও তাদের পরিবারের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী আওয়ামী লীগ ত্যাগী নেতাদের বিরুদ্ধে নতুন করে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এ চক্রান্তের অংশ হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। একটি কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু ও তার ভাই জেলা কৃষকলীগের সভাপতি রবিউল আলম বাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে গত ১৩ অক্টোবর দৈনিক কালেরকন্ঠে ‘ছাত্রলীগ নেতার খুনি এখন প্রভাবশালী আ.লীগ নেতা’ এবং বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামী এখন আওয়ামী লীগ নেতা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে যেসব তথ্য দেয়া হয়েছে তার ব্যাখ্যা দেয়া হয়। আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে এটি একটি নতুন ষড়যন্ত্র উল্লেখ্য করে প্রকাশিত সংবাদে যেসব তথ্য দেয়া হয়েছে তার চ্যালেঞ্জ করে আইনের আশ্রয় নেয়ার ঘোষণা দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু।

সংবাদ সম্মলনের সাগত বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষকলীগের সভাপতি রবিউল আলম বাবু। পরে লিখিত বক্তব্যসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে তার পরিবারের সদস্য সানাউল্লাহ, রফিকুজ্জামান, আলাউদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর আবুল আশরাফ, শাজাহান বাদশা, আমান উল্লাহ সরকার, আবু সাঈদ সরকার, সাদুল্লাহ সরকার ও শফিকুল ইসলঅম শফিক বক্তব্য রাখেন।

দুইটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে তাদের বিরুদ্ধে যে তথ্য দেয়া হয়েছে তা সত্য না মিথ্যা যাচাই করতে সিনিয়র সাংবাদিকদের মাধ্যমে কমিটি করার জন্য রাজশাহীর সাংবাদিকের প্রতি অনুরোধ জানান আজিজুল আলম বেন্টু। তিনি বলেন, ‘‘প্রকাশিত সংবাদে আমাকে ট্রাক চালক, মাছ বিক্রেতা ও দুধ বিক্রেতাও বলা হয়েছে। এছাড়াও আমার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান এবং আমার অনলাইন পত্রিকার কার্যালয়ে টর্চার সেল রয়েছে সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। আমার রাজশাহীর সাংবাদিক সমাজের কাছে অনুরোধ আপনার সিনিয়র সাংবাদিকদের একটি কমিটি গঠন করেন। এ তথ্যগুলো যাচাই করুন। যদি সত্য হয় তবে রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে ঘরে ঢুকে যাব।’’

ব্যবসার ক্ষেত্রে বিন্দু পরিমান অবৈধতা খুঁজে বের করতে পারলে ব্যবসাও ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে রাজশাহীর সিনিয়র সংবাদিকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আজিজুল আলম বেন্টু বলেন, ‘‘আপনার তদন্ত করে দেখুন, আমি কোন অবৈধ ব্যবসা করি কি না। যদি করে থাকি তবে যা শাস্তি দিবেন তা মাথা পেতে নেব।’’

তিনি বলেন, ‘‘আমি আমার সম্পদের হিসাব দিতে প্রস্তুত রয়েছি। তবে যে দুইজন সাংবাদিক আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে আসছে তাদের সম্পদের হিসাবও নেয়া প্রয়োজন। কারণ তারা কি অবস্থায় রাজশাহী আসেছে এবং তারা কিভাবে কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছে। তাদের সম্পদের হিসাব নেয়ার জন্য রাজশাহীর সাংবাদিক ও সুশিল সমাজ এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান আজিজুল আলম বেন্টু।

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের পরিবারিক ও রাজনৈতিক ঐতিহ্য রয়েছে। আমার পিতা মরহুম আলহাজ¦ রুহুল আমিন সরকারের এক হাজার বিঘা সম্পত্তিসহ বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য ছিল। ধারাবাহিকভাবে আমিসহ আমার পরিবারের সেই পৈত্রিক সম্পত্তি পেয়েছি।’’

সংবাদ সম্মেলনে রবিউল আলম বাবু বলেন, ‘‘ছাত্রলীগ নেতা গোলাম মোর্শেদ জখন হত্যাকান্ডের শিকার হন তখন আমি সাহেব বাজারে একটি মিটিংয়ে বক্তব্য রাখছিলাম। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে আমাকে ও আমার ছোট ভাই বেন্টুকে আসামী করা হয়। সে সময় বেন্টু ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিল। বিএনপি-জামায়াত সরকারের নেতারা প্রভাব খাটিয়ে আমাদের যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টে সে সাজা টিকেনি। আমরা কারাগার থেকে বের হয়ে গেছি। কিন্তু দুইটি পত্রিকায় এ মামলা নিয়েও আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *