স্বদেশ বাণী ডেস্ক: যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আমিরুজ্জামানসহ দুই কর্মকর্তার ইয়াবা সেবনের ছবি ও ভিডিও এখন বিভিন্ন মানুষের মোবাইল ফোনে ফোনে।ভাইরাল হওয়ার পর তাদের একজনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
তিনি হলেন থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আমিরুজ্জামান।একই সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (ডিএসবি) ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, আপাতত এসআই আমিরুজ্জামানকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (ডিএসবি) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পাঁচদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার কথা। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানতে চাইলে থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, আমিরুজ্জামানের বিষয়ে পুলিশ সুপার মহোদয় ব্যবস্থা নিয়েছেন। আজই (রোববার) তাকে যশোর পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা অন্য এক পুলিশ কর্মকর্তাকে এসআই ইকবাল বলে কেউ কেউ বলছেন। তবে এই বিষয়ে ওসি বলেন, ওই নামে কোনো পুলিশ অফিসার কোতয়ালী থানায় নেই।
জানা গেছে, যশোর শহরের উপশহর বাবলাতলা এলাকার পিয়ালের গাড়ি সার্ভিসিংয়ের গ্যারেজে মাঝে মধ্যেই আসর বসান যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আমিরুজ্জামান। বিভিন্ন সময়ে হাতেগোনা কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে সেখানে রাতের বেলায় অবস্থান করেন। এ সময় সেখানে জমে ওঠে ইয়াবা সেবন ও তাসখেলার আসর। সম্প্রতি সেই ইয়াবা সেবন ও তাস খেলার একটি ভিডিও ও ছবি ফাঁস হয়ে গেছে। ভিডিওটি এখন বিভিন্ন মানুষের মোবাইল ফোনে ফোনে ঘুরছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আমিরুজ্জামান ও এসআই ইকবাল হোসেনসহ আরও একজন খালি গায়ে পিয়ালের গাড়ি সার্ভিসিংয়ের গ্যারেজে তাস খেলছেন। এরই ফাঁকে ইয়াবা সেবন করছেন এসআই আমির। ছবি দুটিও এই পুলিশ কর্মকর্তার ইয়াবা সেবনের।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এসআই আমিরুজ্জামান বলেন, ভিডিও কিসে ফাঁস হয়েছে? এই প্রথম আপনার কাছে শুনলাম। আমি দেখি। খোঁজ নিয়ে পরে আপনাকে জানাচ্ছি। সূত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি।
স্ব.বা/শা
