স্বদেশ বাণী ডেস্ক: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাটি নিচ্ছে নতুন মোড়। কুলাউড়া থানার তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে নির্যাতনের শিকার ওই স্কুলছাত্রী। লিখিত অভিযোগে নিজেকে ‘কপালপোড়া ধর্ষিতা’ হিসেবে অভিহিত করেছে সে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ওই স্কুলছাত্রী।
স্কুলছাত্রী জানায়, পুলিশের ভয়ভীতির পাশাপাশি ধর্ষকরা বিষয়টি আপস-নিষ্পত্তি না করলে বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছে- ‘আমি ভাটেরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। নিরুপায় হয়ে আপনার দ্বারস্থ হলাম। গত ২৪ অক্টোবর আমি স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভাটেরা ইউনিয়নের কলিমাবাদ গ্রামের একটি টিলার পাশে দক্ষিণভাগ গ্রামের আনিছ মিয়া ও ভবানীপুর গ্রামের শানু আমাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে আমার চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন আমাকে উদ্ধার করে। নতুবা তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতো। ওইদিন সন্ধ্যায় আমার মা-বাবা আমাকে কুলাউড়া থানায় নিয়ে যায়। সেখানে আমার কাছ থেকে ঘটনা জেনে অভিযোগ লেখা হয়। সেখানে আমি স্পষ্ট বলেছি যে, আমাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।’
এরপর থানায় থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে বাদল দারোগা (এসআই), সনক দারোগা (এসআই), কনস্টেবল রোজীনা আমাকে নানা ভয় দেখিয়ে বলে যে- ধর্ষণের কথা বললে আমারও জেল-ফাঁস হবে। গভীর রাতে আরেক অফিসার আবার আমার কাছ থেকে জবানবন্দি নেন এবং আমাকে না জানিয়ে তা রেকর্ড করেন। আমাকে এমনভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে, আমি সত্য কথা তখন বলতে পারিনি।
লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়- ঘটনার পাঁচদিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও কুলাউড়া থানা পুলিশ মূল আসামিকে ধরতে পারেনি। এদিকে আসামি পক্ষ বিষয়টি শেষ করার জন্য চাপ দিচ্ছে। শেষ না করলে আমাদের বাড়ি ঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি গরিব পরিবারের সন্তান। আমার স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করে আমি শিক্ষক হবো। কিন্তু আমার সব শেষ করে দিলো ওই দুই লম্পট।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ বলেন, একটা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য সরেজমিনে একজন অফিসার পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সূত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি।
স্ব.বা/শা