নারীদের যদি যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাহলে দেশেই পতিতালয় খুলে দেয়া হোক’

জাতীয়

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: অন্য দেশে কাজ করতে গিয়ে নারীদের যদি যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়, তবে দেশেই বৈধ পতিতালয় খুলে দেয়া হোক বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকার বাংলাদেশর মহাসচিব সাংবাদিক সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি।

সোমবার বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সৌদী আরব সহ বিভিন্ন দেশে প্রবাসী নারী শ্রমিকদের নির্যাতন-খুন বন্ধে প্রশিক্ষণ-নিরাপত্তার দাবীতে মানববন্ধন ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশী নারী গৃহ শ্রমিকদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে মানবাধিকার বাংলাদেশর মহাসচিব সাংবাদিক সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি বলেন, যদি বাংলাদেশের নারীদের প্রবাসে গিয়ে কাজ করাকালীন সময়ে সরকার নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাদেরকে বাসাবাড়ির কাজ করতে গিয়ে সেখানে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়, তাহলে এদেশেই একটি বৈধ পতিতালয় খুলে দেয়া হোক। তাহলে অন্তত আমাদের দেশের নারীদের অন্য দেশে গিয়ে পতিতাবৃত্তি করতে হবে না।

তিনি বলেন একের পর এক নারী গৃহকর্মীদের লাশ আসছে দেশে। অগণিত নারী গৃহ শ্রমিক নির্যাতিত হয়ে দেশে ফিরছে অমানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে কেউ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে, কেউ ধর্ষণের ফলে গর্ভে আসা অবৈধ সন্তান পেটে নিয়ে লজ্জা-ঘৃণা সহকারে দেশে ফিরছে। অথচ সংশ্লিষ্ট মহল এখনো পর্যন্ত কোনো আশানুরুপ পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। আমরা চাই সরকার শর্ষ্যের ভেতরে থাকা ভূতগুলোকে খোঁজে বের করে প্রবাসী মা-বোনদের নিরাপত্তায় কার্যকর পদক্ষেপ নিক।

মানবাধিকার বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানার সভাপতিত্বে এতে আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফর রহমান স্বপন, অনলাইন প্রেস ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এসময় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন- গত ১ বছরে বিভিন্ন দেশ থেকে ৮৮ নারী গৃহকর্মী লাশ ও অগণিত নির্যাতিত হয়ে ফিরলেও সংশ্লিষ্ট মহল কোন আশানুরুপ পদক্ষেপ না নেয়ায় অনতিবিলম্ব পদক্ষেপের দাবী জানান।

গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী- নির্যাতনের অভিযোগে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে গৃহকর্মী পাঠানো বন্ধ করে দিলে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের সাথে চুক্তি করে সৌদি আরব। এরপর থেকে গত জুলাই মাস পর্যন্ত ৩ লাখ নারী কর্মী গেছেন সৌদি আরবে। দুই বছরের চুক্তিতে যাওয়া নারী গৃহকর্মীরা মাসে বেতন পান বাংলাদেশি টাকায় মাত্র ১৭ হাজার বললেও তা থেকে বঞ্চিত হয়।

চুক্তি অনুযায়ী গৃহকর্মীদের বিনা খরচে সৌদি আরব যাওয়ার কথা, কিন্তু দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ১০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা লেগে যায় সৌদি আরব যেতে। প্রবাসী শ্রমিকরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তারা বিদেশে কাজে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরছেন। নির্যাতন সইতে না পেরে সব খুইয়ে দেশে ফিরে আসছেন। প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা ও প্রবাসে দূতাবাসগুলো তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছেন না। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *