বগুড়া সদরের অদ্দিরগোলা বাজারে ব্যবসায়ীকে কোপাচ্ছে দুর্বৃত্তরা, দেখছে শত জনতা

রাজশাহী লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ১০টা। অন্যান্য দিনের মতো সরগরম বগুড়া সদরের অদ্দিরগোলা বাজার। কর্মব্যস্ত মানুষ ছুটছেন বিভিন্ন জায়গায়। অদ্দিরগোলা বাজারে তখন শত মানুষের ভিড়। ১০টার দিকে হঠাৎ চিৎকার চেঁচামেচি। সেখানে একজন ব্যবসায়ীর পথরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছেন ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত। প্রাণে বাঁচতে ব্যবসায়ীর বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার।

আশপাশের সবাই তার আত্মচিৎকার শুনছে। কিন্তু দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্র আর তাদের কোপানোর দৃশ্য দেখে কারও সাহস হয়নি তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসার। কিছুক্ষণ প্রকাশ্যে কোপানোর পর দুর্বৃত্তরা বীরদর্পে সেখান থেকে চলে গেলে মানুষ গিয়ে দেখতে পান তার নিথর দেহ।

বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া শহরের অদ্দিরগোলা বাজারে শত মানুষের সামনে এভাবেই কুপিয়ে হত্যা করা হয় মাছ ব্যবসায়ী আব্দুর রহিমকে। প্রকাশ্যে একজনকে এভাবে পেটানোর দৃশ্য দেখে অনেকেই নির্বাক হয়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী বেশ কয়েকজন জানান, সকাল ১০টার দিকে আব্দুর রহিম নামে ওই ব্যক্তি মোটরসাইকেল যোগে বাজারের মধ্যে দিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। অদ্দিরগোলা বাজারের পূর্বপার্শ্বে আসার পর একদল দুর্বৃত্ত তাকে ঘিরে ফেলেন। তাদের কয়েকজনের হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র। এরপর অনেক মানুষের সামনে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে উত্তর পাশের পাকা রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায়।

দুর্বৃত্তদের হাতে অস্ত্র দেখে কেউ আব্দুর রহিমকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। ওই ঘটনার সময় অদ্দিরগোলা বাজারের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। রাস্তায় পড়ে থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

নিহত আব্দুর রহিম আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মীও ছিলেন। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। ২০১৬ সালে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সাবগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাইল হক সরদারকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় করা মামলায় আব্দুর রহিম প্রধান আসামি ছিলেন। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে এখনো তা জানা যায়নি।

নিহতের বড় ভাই আব্দুল বাসেদ জানান, আব্দুর রহিমের তিন ছেলে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকা-ের সময় ১০/১২ জন ছিলেন। এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানান তিনি।

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এই হত্যাকা- হয়েছে বলে নিহতের পরিবার থেকে জানানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে। থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। সূত্র: ঢাকা টাইমস।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *