রাজশাহীর বাগমারায় হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মেম্বারসহ ৫ জন গ্রেফতার

রাজশাহী লীড

বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের কনোপাড়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ সময় একজন আহত হন। তাকে বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে বাগমারা থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কনোপাড়া গ্রামের মৃত হাসেনের ছেলে রাজা (৪০), একই গ্রামের ইসমাইলের ছেলে লালু (২৫), আশরাফুলের ছেলে রাজু (২০)। এছাড়াও থানা পুলিশ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মির্জাপুর গ্রামের মৃত অছির আলীর ছেলে গোয়ালকান্দি ইউপির ২নং ওয়ার্ডের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আবেদ আলী মোল্লা (৫০) এবং কনোপাড়া গ্রামের কাঠমিস্ত্রী কুদ্দুস আলীকে (৪০) গ্রেপ্তার করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কনোপাড়া গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মকছেদ আলীর বড় ভাই ভুট্টু আলী (৪০) তাহেরপুরহাট থেকে ভ্যান যোগে ফিরছিলেন। এ সময় কনোপাড়া দিঘীপাড়ায় কয়েকজন সন্ত্রাসী তার উপর হামলা করে। এ সময় তাকে পিটিয়ে জখম করে নগর ২০ হাজার টাকাসহ ৯০ হাজার টাকারর মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাগমারা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

এদিকে, এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় হামলাকারিরা এর পর দিঘীর পাড়ে অবস্থিত মকছেদ আলীর সমর্থকদের নয়টি দোকান ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। খবর পেয়ে বাগমারা থানা পুলিশ ও তাহেরপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা পালিয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্থ দোকানদার বাবু জানান, তার দোকানে থাকা ফ্রিজ, টিভি, ঔষধ ও নগদ টাকাসহ প্রায় তিনলক্ষ টাকা লুটপাট করে। কারখানার মালিক রফিকুল তার কারখানায় হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুটপাট করে বলে জানান। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ দোকানীরা জানান নয়টি দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় প্রায় নয় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, মারামারি ও দোকান ভাংচুরের ঘটনায় দুইটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দে এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *