স্টাফ রিপোর্টার: ঈদকে ঘিরে লকডাউনের মধ্যেই রাজশাহীর ফুটপাতে কাপড়ের দোকান বসে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। এদিন বেশ কয়েকটি দোকান ফুটাতে বসান ব্যবসায়ীরা। এর পর থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্যবসা করছিলেন তারা। তবে দুপুর দুইটার দিকে পুলিশ গিয়ে তাদের উঠিয়ে দেয়।
ঈদের কেনাকাটার জন্য রাজশাহীর এই ফুটপাতের দোকানগুলো নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষদের কাছে অনেকটায় জনপ্রিয়। এর বাইরেও স্বাভাবিক সময়েও নগরীর সাহেব বাজারকেন্দ্রীক দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠা এই ফুটপাতের দোকানগুলোতে মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। তবে লকাডাউনের কারণে এসব দোকানপাটও বন্ধ হয়ে যায়।
এতে বিপাকে পড়েন ফুটপাতের এ ব্যবসায়ীরা। তবে ঈদ ঘিরে তারা আবারো ঘুরে দাঁড়াতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সাহেব বাজারের ফুটপাতে বসে বেশ কয়েকজন ব্যবসা শুরু করেন।
ব্যবসায়ী নূরহোসেন বলেন, আমরা গত এক মাসে বেকার হয়ে গেছি। ঘরে বসে খেতে গিয়ে অনেকেই পুঁজি হারাতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ ধার-দেনায় পড়েছেন। এখন ঈদঘিরে আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এ কারণে ব্যবসাও শুরু করার চেষ্টা করছি। তবে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী দুপুরের মধ্যেই দোকান-পাট বন্ধ করে নিতে হচ্ছি। সেই নির্দেশনা আমরা মেনেই ব্যবসা করতে চাই।’
এদিকে ফুটপাতের কাপড় দোকানে ভিড় বাড়তে থাকলে করোনা ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দিতে পারে বলে মনে করছেন নগরবাসী। ফলে এখনোই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ছাড়া ফুটপাতে দোকানপাট খুলে না দিতেও আহ্বান জানান অনেকেই। প্রয়োজনে এসব ব্যবসায়ীদের প্রনোদনার আওতায় আনারও দাবি জানান কেউ কেউ।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারন চন্দ্র দাস বলেন, ‘ফুটপাতে কিছু ব্যবসায়ী বসেছিলো। তাদের দুপুরের পর তুলে দেওয়া হয়েছে। দোকানের সামনে ভিড় যেন না বাড়ে সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের।
স্ব.বা/শা