সারোয়ার হোসেন, তানোর: ঈদের মধ্যেও থেকে নেই রাজশাহীর তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাকিবুল হাসান রাকিবের মানবিক সেবা। তানোরে করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার পর থেকে দিনরাত আক্রন্ত ব্যক্তিদের নিরাপদে রাখা সহ উপজেলাতে যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য উপজেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার মোড়ে ও ঈদকে ঘিরে যেন এক থানা থেকে আরেক থানায় আত্নীয় সজন ব্যাড়াতে আসতে না পারে সেজন্যেও দেয়া হচ্ছে কড়া নজরদারি। শুধু তাই না ঈদকে ঘিরে গ্রামের কেউ যেন কারো বাসায় কোনো ধরনের অনুষ্ঠান বা ঈদপূর্ণ মিলনের নামে মিটিং সমাবেশ পর্যন্ত না করার অনুরোধ জানিয়ে আসছেন তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাকিবুল হাসান রাকিব।
জানা গেছে, তানোরে মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ছোবল পড়ায় আতংকিত হয়ে পড়েছে সবশ্রেণীপেশার মানুষ। আর সেই আতংক জনসাধারণের মধ্যে থেকে দূর করতে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তিদের নিরাপদ হোমকোন্টাইনে রেখে তাদের চিকিৎসা সেবা দেয়া ছাড়াও নিয়মিত তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছে ওসি রাকিবুল হাসান রাকিব। এছাড়াও রাত-দিন উপজেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার মোড়ে জরুরী ফোর্স দিয়ে জনসমাগম কমাতে সচেতনতা মূলক প্রচার মাইকিং করা হচ্ছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া দিকনির্দেশনাকে বাস্তবায়ন করতে প্রতিনিয়ত জনসচেতনতা মূলক মাইকিং লিফলেট বিতরণ প্রচার প্রচারণা নিয়মিত থানার পক্ষ থেকে অব্যাহত রয়েছে।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলা পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় আমরা সবসময় মাঠে ঘাটে নিজেদের জীবন বাজী রেখে জনসাধারণের সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছি। এমনকি ঈদের মধ্যেও আমরা উপজেলার বিভিন্ন বাজারের মোড়ে ও উপজেলার প্রবেশ পথগুলোতে নিয়মিত চেক পোস্ট বসিয়ে প্রতিটি গাড়ি তল্লাশি করাসহ বাহিরের কোন গাড়ি যাতায়াত করতে দিচ্ছি না। এছাড়াও মোটরসাইকেলে একজনের বেশি চলাফেরা করতে নির্ষেধ করা সহ তাদের বাইরে অযথা ঘোরাঘুরি না করে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে,ব্যক্তিগত গাড়ি চালক ও সড়কে চলাচলকারীদের উপযুক্ত কারণ ছাড়া উপজেলার বাজার হাটে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, করোনায় আক্রান্ত কোন রোগী যখন নিজেদের পরিবার ও সমাজের মানুষের কাছে অবহেলিত তখন পুলিশই তাদের জীবন বাজি রেখে করোনা ভাইরাস আক্রন্তদেরকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। এমনকি করোনা আক্রান্ত কোন রোগী মারা গেলে পুলিশকেই তার জানাজার ব্যাবস্থা করা এমনকি দাফনের ব্যবস্থাও করছেন পুলিশ সদস্যরা।
এ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনা যুদ্ধে পুলিশের অনেক সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মরেও গেছেন। তবুও পুলিশ সদস্যরা ঝুকি নিয়েই চালিয়ে যাচ্ছে কর্মকাণ্ড। সেই সাথে আমাদের জেলা এসপি মহাদ্বয়ের পক্ষ থেকে অসহায় দুস্থদের মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি এলাকায় জনসচেতনতা মূলক মাইকিং করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের নির্দেশনার পাশাপাশি তাদেরকে স্বাস্থ্য বিধি অনুযায়ী পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ওসি আরো বলেন মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারী নিয়মনীতি মেনে সবাইকে ঘরে থেকে নিরাপদ থাকতে অনুরোধ জানিয়ে যাচ্ছেন তানোরের মানবিক ওসি রাকিবুল হাসান রাকিব।
স্ব.বা/বা