সারাদেশে রবিবার থেকে চলবে লঞ্চ-ট্রেন আর সোমবার বাস

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে চালু হচ্ছে গণপরিবহন। আগামী রবিবার থেকে দেশের সব রুটে লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল শুরু হবে। আর বাস চলাচল শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালু করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

নতুনভাবে ভাড়া নির্ধারণ করে সোমবার থেকে বাস চলাচল শুরু হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কমিটি শনিবার এক বৈঠকের মাধ্যমে নতুন এই ভাড়া নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব।

শুক্রবার বিকালে বনানী বিআরটিএ কার্যালয়ে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সচিব নজরুল ইসলাম।

বনানীতে সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, বাস চলাচল শুরু হলেও মাঝপথে যাত্রী উঠানো যাবে না। কারণ যেখান সেখান থেকে যাত্রী উঠানো হলে স্বাস্থ্যবিধি মানা যাবে না। মালিক-শ্রমিক দুই পক্ষই এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। এছাড়া সব বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১ জুন থেকে গাড়ি চালানোর বিষয়ে মালিকরা একমত হয়েছেন।

সচিব বলেন, বাসে দূরত্ব বজায় রাখতে আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী তোলা হবে। অর্থাৎ ৫০ সিটের বাসে যাত্রী তোলা যাবে ২৫ জন। এজন্য অবশ্য নতুন করে ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে। আগামীকাল শনিবার ভাড়া নির্ধারণ কমিটি বৈঠক করে ভাড়া ঠিক করবে।

বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকার কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন স্বাস্থ্যবিধিসহ সরকারি নিয়ম মেনে যানবাহন পরিচালনার দায়িত্ব মালিক-শ্রমিকদের।

এদিকে, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রবিবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও নৌযান চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে এক বৈঠকে বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বিআইডিবøউটিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় লঞ্চ চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলেও ভাড়া নির্ধারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। বিআইডবিøউটিএ চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, লঞ্চের ভাড়া নির্ধারণেও আলাদা বৈঠক হবে।

সীমিত আকারে চলবে ট্রেন

এদিকে দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রবিবার থেকে সীমিত পর্যায়ে চলবে ট্রেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ৫০ ভাগ যাত্রী নিয়ে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুটি গ্রæপে ভাগ করে ট্রেন পরিচালনা করা হবে। এরমধ্যে প্রথমে ‘ক’ গ্রæপে রাখা ট্রেনগুলো ৩১ মে থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট রুটে কালনী এক্সপ্রেস, ঢাকা-বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন রুটে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, ঢাকা-রাজশাহী রুটে বনলতা এক্সপ্রেস, ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে উদয়ন/পাহাড়িকা এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-খুলনা রুটে চিত্রা এক্সপ্রেস চলবে।

আর ‘খ গ্রæপে ৩ জুন থেকে ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস, ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস, ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নীলসাগর এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি রুটে রূপসা এক্সপ্রেস, খুলনা-রাজশাহী রুটে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, রাজশাহী-গোয়ালন্দ ঘাট রুটে মধুমতি এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে মেঘনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপক‚ল এক্সপ্রেস চলাচলের কথা রয়েছে।

সূত্র: অধিকার

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *