নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোর শহরে এক স্কুল ছাত্রী বিয়ের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে ঢুকে ছাত্রীকে বেধড়ক মারপিট করা সহ তার বাবার হাত ভেঙ্গে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ৫জনকে অভিযুক্ত করে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত ৫জনের মধ্যে ২জনকে গ্রেফতার করলেও আদালতে জামিন নিয়ে বেরিয়ে তারা ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবারকে আবারও প্রাণ নাশের হমুকি দিচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোর শহরের আলাইপুর কলোনী এলাকায়।
নাটোর থানায় দাখিলকৃত অভিযোগে জানা যায়, শহরের উত্তর আলাইপুর এলাকার আব্দুল হাই এর মেয়ে মোছাঃ রাবেয়া খাতুন (১৬) স্কুলে আসা যাওয়ার পথে আলাইপুর কলোনীপাড়া দুদু মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম (২২) প্রায় প্রেমের প্রস্তাব দেয় এবং প্রায় উত্যাক্ত করে আসছে। প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হলে অপহরণ করে, জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করার হুমকি দেয় রবিউল।
এক পর্য়ায়ে গত ২৬ মে বিকাল ৫টার দিকে রবিউল, মিটু, আরিফ, শরিফ, লিটন আলী এবং খোকা মিয়া জোরপূর্বক ওই ছাত্রীর বাড়িতে ঢুকে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দেয় তার বাবাকে। সেসময় ছত্রীর বাবা আব্দুল হাই রবিউলের সাথে তার মেয়ের বিয়ে দিতে অস্বীকার করলে মিঠু ও শরিফ স্কুল ছাত্রী রাবেয়ার
মা ছালেহা বেগমকে কাঠের বাটাম দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে কিন্তু ওই আঘাতটি রাবেয়ার বাবা আব্দুল হাই ডান হাতদিয়ে বাধা দিলে ডান হাত ভেংগে যায়। পরে ওই ছাত্রীর ভাই হাসিবুল বাবাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে এলে খোকা মিয়া তাকে লোহার তৈরি চপ্পল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য মাথায় আঘাত করলে মাথার বাম দিকে মাথাসহ ঠোঁটে লাগিয়া কেটে রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয়। তখন তাদের চিৎকারে আশেপাশের মানুষ এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। পরে তাদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ছাত্রীর মা ছালেহা বেমগ গত ২ মে নাটোর সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
বিষয়টি নিয়ে নাটোর থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং ৫ জন অভিযুক্তের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। বাকীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি জাহাঙ্গীর আলম।
স্ব.বা/বা